সোমবার দুপুরে ওই কম্পন যখন হয়েছে, তখন ভারতীয় সময় চারটে। ছবি : টুইটার থেকে।
ভোরবেলার আতঙ্কের পর মৃতদেহ গোনা শেষ হয়নি তখনও। দুপুর দেড়টা নাগাদ উদ্ধারকাজ চলছে ঠিকই, কিন্তু তুরস্কের প্রশাসন ভেবে পাচ্ছে না কোথা থেকে শুরু করে কোথায় গিয়ে শেষ হবে উদ্ধারকাজ। এর মধ্যেই আবার দুলুনি! সকালের মতোই তীব্র ঝাঁকুনি দিয়ে আরও একবার কেঁপে উঠল তুরস্ক।
এ বারও দেশের দক্ষিণ প্রান্তে। ভোরবেলায় তুরস্কের যে এলাকা আক্রান্ত হয়েছিল সেই কাহরামানমারাস প্রদেশের এলবিট জেলা ছিল ওই দ্বিতীয় ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল। স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ২৪ মিনিটে দ্বিতীয়বার ভূমিকম্প হয় এখানে। কম্পন অনুভূত হয় সিরিয়ার দামাস্কাস, লাতাকিয়াতেও।
সোমবার দুপুরে ওই কম্পন যখন হয়েছে, তখন ভারতীয় সময় ৪টে। তার কিছু ক্ষণ আগেই তুরস্ক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম বারের কম্পনের ধাক্কায় মৃতের সংখ্যা ১২০০ পার করেছে। তবে দ্বিতীয় বারের কম্পনের জেরে নতুন করে কী ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা স্পষ্ট করেনি তুরস্ক প্রশাসন। ইস্তানবুলের কান্দিল্লি মানমন্দির শুধু জানিয়েছে, ভোরবেলার থেকে খুব একটা কম ছিল না এই দ্বিতীয় ভূমিকম্পের তীব্রতা। রিখটার স্কেলে এই কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৫। যেখানে প্রথম কম্পনটির মাত্রা ৭.৮।
১৯৩৯ সালের পর তুরস্ক এমন ভয়াবহ ভূকম্প দেখেনি। ভূমিকম্পের ফলে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে তুরস্ক এবং সিরিয়া। যদিও একটি সূত্রে এমনও জানা গিয়েছে সোমবার ভোরে প্রথম বার কম্পনের ১১ থেকে ১৫ মিনিটের ব্যবধানে দ্বিতীয় বার কেঁপে ওঠে লেবানন, সিরিয়া এবং সাইপ্রাসের বিভিন্ন অংশ। ইউনাইটেড স্টেটস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস)-র মতে, এই কম্পনের তীব্রতা ছিল ৬.৭। সে ক্ষেত্রে এটি তুরস্ক-সিরিয়ায় হওয়া তৃতীয় কম্পন।