ঘরে মিল মিনা কুমারী পাসওয়ানের ঝুলন্ত দেহ। নিজস্ব চিত্র।
যুবতীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হল হুগলির হিন্দমোটরের দ্বারিক জঙ্গল রোড এলাকার একটি আবাসন থেকে। পরিবারের অনুমান, প্রেমে টানাপড়েনের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।রবিবার হিন্দমোটরের দ্বারিক জঙ্গল রোড এলাকার বাসিন্দা মিনা কুমারী পাসওয়ান (২৬)-এর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় বাড়ি থেকে। মিনা কোন্নগরে একটি চুড়ি কারখানায় কাজ করতেন। রবিবার সকালে তাঁর মা কালীঘাটে পুজো দিতে গিয়েছিলেন। বাবাও বাড়িতে ছিলেন না। আবাসনে সেই সময় তাঁরা দুই বোন ছিলেন। দুপুরে ফ্ল্যাটের একটি ঘরের সিলিং ফ্যানে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন মিনা। তাঁর দিদি দেখতে পেয়ে প্রতিবেশীদের ডাকেন। খবর দেওয়া হয় পুলিশেও। উত্তরপাড়া থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
মিনার বাবা শিবলাল পাসওয়ান বলেন, ‘‘বাড়িতে কারও সঙ্গে ময়ের অশান্তি হয়নি। তবে ও ফোন নিয়ে খালি ছাদে চলে যেত। ফোনে কারও সঙ্গে ঝগড়া করে আবার ঘরে গিয়ে শুয়ে পড়ত। মনে হচ্ছে, কোনও ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। আমরা ছেলেটাকে চিনি না। মেয়েকে আমি বলেছিলাম, ‘যদি কাউকে পছন্দ করিস তো বল। বিয়ের ব্যবস্থা করব।’ কিন্তু কী যে হয়ে গেল!’’ যুবতীর কাকা সত্যেন্দ্র পাসওয়ান বলেন, ‘‘ভাইঝি প্রেম করত। ফোনে খুব কথা বলত। কিন্তু গত দু’তিন দিন ধরে কিছু একটা হয়েছিল ওদের মধ্যে। তবে ও বাড়ির কাউকে কিছু বলেনি।’’