(বাঁ দিক থেকে) দুলাল সরকার, বিষ্ণুদেও নুনিয়া, রামকৃষ্ণ ঘোষ এবং অশোক রুদ্র। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
আসানসোলে বেড়েছে জমি এবং বালি মাফিয়াদের ‘দৌরাত্ম্য’। বছর দুয়েক আগে এক জমির কারবারি খুন হন। সেই সময় অভিযোগ উঠেছিল, ভিন্রাজ্য থেকে দুষ্কৃতী নিয়ে এসে খুন করা হয়েছে অরবিন্দ ভগত নামের ওই ব্যক্তিকে। নেপথ্যে রয়েছেন জমি মাফিয়ারা। সেই খুনের কিনারা এখনও হয়নি। তবে মালদহের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এই ধরনের অপরাধ রুখতে সক্রিয় আসানসোল পুলিশ কমিশনারেট। এই পরিস্থিতিতে আসানসোলের তিন তৃণমূল নেতাকে পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।
এই তিন জন হলেন তৃণমূলের রাজ্য কমিটির সদস্য তথা আসানসোল পুরনিগমের কাউন্সিলর অশোক রুদ্র, পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি বিষ্ণুদেও নুনিয়া এবং জেলা পরিষদের সদস্য রামকৃষ্ণ ঘোষ।
পুলিশ সূত্রে খবর, আসানসোল এবং সংলগ্ন এলাকায় মাফিয়াদের বাড়বাড়ন্ত কয়েক বছর ধরেই মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে। পুলিশের একাংশের মত, কয়লা মাফিয়াদের একাংশই পরে জমি এবং বালির ব্যবসায় নাম লিখিয়েছেন। ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে শহরের চিত্রা মোড়ে দু’জন এবং ডামরায় এক তৃণমূল কর্মী মারা যান। সেই সময় অশোক স্থানীয় মানুষজনকে নিয়ে অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলেন। আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভার ঘটনা হওয়ায় স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালও আন্দোলন করেছিলেন।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, রাজ্য প্রশাসন আসানসোল শিল্পাঞ্চলের সামগ্রিক পরিস্থিতির ওপর নজর দিতে বলেছে পুলিশকে। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশের পর আসানসোল এবং গোটা রাজ্যেই কয়েক জন জমি এবং বালি মাফিয়া গ্রেফতার হন। তার মধ্যেই ঘটে মালদহের ঘটনা। প্রকাশ্যে খুন হন মালদহের তৃণমূল সহ-সভাপতি দুলাল সরকার ওরফে বাবলা। এই পরিস্থিতিতে শিল্পশহর আসানসোলে নিরাপত্তা বন্দোবস্ত ঢেলে সাজতে চাইছে পুলিশ। পুলিশি নিরাপত্তা পাওয়া প্রসঙ্গে অশোক বলেন, “২০২২ সালের নভেম্বর মাসে আমার নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হয়েছিল। এখন আবার দেওয়া হল। কেনই বা নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হয়েছিল, কেনই বা এখন আবার নিরাপত্তা দেওয়া হল, সেই বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।”