বুধবারের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —প্রধানমন্ত্রীর দফতরের এক্স হ্যান্ডল থেকে।
আলোচ্য ছিল কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে বাংলার দাবিদাওয়া এবং বকেয়া টাকা নিয়ে। কিন্তু তাতে ব্যক্তিগত কুশল বিনিময় বাদ গেল না। বস্তুত, বৈঠকের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করলেন, তাঁর পা এখন কেমন আছে। জবাবে মমতা বলেন, এখন তিনি ঠিক আছেন। পায়ের অবস্থা আগের চেয়ে অনেক ভাল।
তার পরেই শুরু হয় আলোচনা। সূত্রের খবর, গোটা আলোচনায় মমতাই শুধু কথা বলেছেন। প্রতিনিধিদলে উপস্থিত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অপর সাংসদেরা কিছু বলেননি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তৃণমূল সাংসদদের বৈঠক চলে মিনিট কুড়ি। তার পরে বাইরে এসে সে সম্পর্কে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
বুধবার সকালে তৃণমূলের প্রতিনিধিদল নতুন সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের লাগোয়া বৈঠক কক্ষে পৌঁছনোর সঙ্গে সঙ্গেই সেই ঘরে প্রবেশ করেন মোদী। তার পরেই মুখ্যমন্ত্রীর স্বাস্থ্যের খোঁজ নেন। প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারের সময় হেলিকপ্টার বিভ্রাটে প্রথম পায়ে আঘাত পেয়েছিলেন মমতা। তার পরে গত সেপ্টেম্বরে স্পেন সফরের সময়ে সেই পায়ে আবার আঘাত লাগে। ২৪ সেপ্টেম্বর এসএসকেএম হাসপাতালে তাঁর পায়ে অস্ত্রোপচার হয়। সেই থেকে এক মাসের বেশি সময় ধরে গৃহবন্দিই ছিলেন মমতা। প্রশাসনিক সমস্ত কাজকর্ম তাঁকে বাড়ি থেকেই করতে হয়েছিল। পুজোর উদ্বোধনও করেছিলেন বাড়ি থেকে ভার্চুয়ালি। পুজোর পরে রেড রোডে কার্নিভালের দিন প্রথম বাড়ি থেকে বার হন মুখ্যমন্ত্রী। তার পর থেকে অবশ্য তিনি নিয়মিত দফতরে যাচ্ছেন। সফরও শুরু করেছেন। তবে এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর দেখা হয়নি। কথা হয়েছে বলেও খবর নেই। সেই কারণেই বুধবার মুখোমুখি দেখা হতে মমতার পায়ের আঘাতের বিষয়ে খোঁজ নেন মোদী। এর আগে শেষ বার গত বছর ২২ অগস্ট মোদীর সঙ্গে মুখোমুখি সাক্ষাৎ হয়েছিল দিদির।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের জুলাই মাসে রাজ্যের নাম ‘বাংলা’ করার দাবি নিয়ে তৃণমূল সাংসদদের একটি প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল। তাতে ছিলেন অভিষেক। সেই বৈঠক শুরুর আগে অভিষেকের চোখের খোঁজ নিয়েছিলেন মোদী।