— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ভারী বৃষ্টির হলুদ সতর্কতা জারি হল উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলায়। দক্ষিণবঙ্গেও রইল বজ্রবিদ্যুৎ-সহ মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, আগামী সাত দিন এমনটাই থাকবে পশ্চিমবঙ্গের বর্ষাভাগ্য।
মৌসুমি অক্ষরেখা বর্তমানে গঙ্গানগর, পিলানি, আগরা, রাঁচি, দিঘার উপর দিয়ে দক্ষিণ পূর্বে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। মঙ্গলবার গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং সংলগ্ন বাংলাদেশের উপরে থাকা ঘূর্ণাবর্ত এখন পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড ও উত্তর ওড়িশার উপরে অবস্থান করছে। ফলে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এই এলাকায় নিম্নচাপ বলয় তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী চার-পাঁচ দিনের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া পরিবর্তনের বিশেষ সম্ভাবনা নেই। বিক্ষিপ্ত ভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিতে ভিজতে পারে দক্ষিণবঙ্গ। বুধ-বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আপাতত দু’দিন ভারী বৃষ্টি হতে পারে দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়ায়। তবে কোথাও একটানা বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। শনি ও রবিবার ফের ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম এবং দুই ২৪ পরগনায়।
উল্টো দিকে চলতি সপ্তাহে উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। আগামী তিন দিন ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার-সহ পাঁচ জেলায়। এই জেলাগুলিতে দৈনিক ৭-১১ সেন্টিমিটার বৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে আলিপুরদুয়ারে শুক্রবার ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি হয়েছে। দার্জিলিং ও কোচবিহার জেলা প্রশাসনকে ভূমিধস নিয়েও সাবধান থাকতে বলেছে হাওয়া অফিস।
বৃহস্পতিবারও মেঘলাই থাকবে কলকাতার আকাশ। শহরের কয়েকটি জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। একই চিত্র বহাল থাকবে অন্যান্য জেলাতেও। এ ছাড়া আপাতত আর বৃষ্টির আশা নেই দক্ষিণবঙ্গে!