— প্রতীকী চিত্র।
কর্নাটকের বিজেপি সভাপতি তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পার ছেলে বি ওয়াই বিজয়েন্দ্রের বিরুদ্ধে লাগাতার আক্রমণ জারি রেখেছেন দলের বিধায়ক বসনগৌড়া পাটিল ইয়াৎনা। এ বার তাঁর অভিযোগ, ইয়েদুরাপ্পা যখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, সেই সময় তাঁর সই জাল করেছেন বিজয়েন্দ্র। শুধু তাই নয়, জমি দুর্নীতিতেও ইয়েদুরাপ্পা-পুত্র জড়িত বলে অভিযোগ বসনগৌড়ার।
কোনও রাখঢাক না করেই গত কাল সাংবাদিকদের সামনে বিজয়েন্দ্রের বিরুদ্ধে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন বসনগৌড়া। তিনি বলেন, ‘‘ইয়েদুরাপ্পা যখন মুখ্যমন্ত্রী তখন নির্দিষ্ট কিছু ফাইল বিজয়েন্দ্র দেখেছিলেন। সেই সময়ই তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রীর সই জাল করা হয়েছিল। এই অভিযোগ আমি একা তুলছি না। কংগ্রেসের বি কে হরিপ্রসাদও এই অভিযোগ তুলেছিলেন। কংগ্রেস যদি এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখে থাকে, তা হলে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া এবং উপমুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমার এ নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিন।’’
বিজয়েন্দ্র মুডা দুর্নীতিতেও যুক্ত বলে অভিযোগ করেছেন বসনগৌড়া। জমির ব্যাপারে কেউই ‘সাধু পুরুষ’ নন বলে উল্লেখ করে তাঁর অভিযোগ, ‘‘ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে ইডি ৩০০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে। কিন্তু শুধু সিদ্দারামাইয়ার নাম সামনে আসছে। এ বিষয়ে সিদ্দারামাইয়ার যে দোষ আছে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু বিজয়েন্দ্র, জি টি দেবগৌড়ার মতো আরও অনেক নেতা এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। তাঁদের বিরুদ্ধেও তদন্ত হওয়া উচিত।’’ বিজয়েন্দ্রের পাশাপাশি, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়াকে আক্রমণ করে ভারসাম্য রাখতে চেয়েছেন বসনগৌড়া। তাঁর অভিযোগ, তিনি এবং বিধান পরিষদের সদসস্য সি টি রবি হিন্দু-স্বার্থে সরব হয়েছেনবলেই রাজ্য সরকার তাঁদের নিশানা করেছে। কিন্তু সরকারের এই প্রতিহিংসাপূর্ণ মনোভাব সম্পর্কে বিজয়েন্দ্র সম্পূর্ণ নীরব।
কংগ্রেস পরিচালিত রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে গো-হত্যা রোধে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলেছেন বসনগৌড়া। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘উত্তর কন্নড়ে গো-হত্যা হচ্ছে। সংখ্যালঘুরা এত সাহস পাচ্ছে কোথা থেকে! বিজেপির আমলে এ সব করার সাহস কেউ পেত না। কংগ্রেস সাম্প্রদায়িক হিংসার আবহ তৈরি করতে চাইছে।’’