ছবি: এক্স।
রাস্তার মাঝে দাঁড়িয়েই আঙুল উঁচিয়ে আধিকারিককে শাসাচ্ছেন মহিলা বিধায়ক! বলছেন, ‘‘ক্ষমা না চাইলে জুতো খুলে এমন মারব..!’’ এমনই দৃশ্য দেখা গিয়েছে উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরে।
বুলন্দশহরের খুর্জায় মঙ্গলবার জেসিবি দিয়ে একটি মন্দিরের চাতাল ভেঙে দেন স্থানীয় আবাসন উন্নয়ন নিগমের কর্মীরা। সঙ্গে সঙ্গে এই চাতাল ভাঙাকে কেন্দ্র করে এলাকায় শুরু হয়ে যায় উত্তেজনা। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছন এলাকার বিজেপি বিধায়ক মীনাক্ষী সিংহ। এর পর স্থানীয়দের সামনেই আবাসন উন্নয়ন আধিকারিকদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তিনি।
মঙ্গলবার রাত থেকেই ওই ঘটনার ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তাতেই সরব হয়েছেন সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারীরা। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, রাস্তার মাঝেই চিৎকার করে এক আধিকারিককে শাসাচ্ছেন ওই মহিলা বিধায়ক (যদিও ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার আনলাইন)। বলছেন, ‘‘ক্ষমা না চাইলে জুতো খুলে মারব!’’ চারপাশে একদল মানুষের ভিড়। তাঁরাও গলা মেলাচ্ছেন মীনাক্ষীর সুরেই!
মীনাক্ষীকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘‘আপনারা শ্রাবণ মাসে কী ভাবে হিন্দু মন্দির ধ্বংস করার মতো ঘৃণ্য কাজ করতে পারেন? আপনারা আমাদের সরকারকে বদনাম করতে চান? জনগণের কাছে ক্ষমা চান। নইলে জুতো খুলে এমন মারব না…!’’ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন এলাকার মহকুমাশাসক। সেখানে গিয়ে কোনও মতে পরিস্থিতি সামাল দেন তিনি।
৬ আগস্ট সকালে খুর্জায় বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে গিয়েছিলেন আবাসন উন্নয়ন কর্পোরেশনের কিছু কর্মী। বুলডোজ়ার দিয়ে ভেঙে ফেলা হয় স্থানীয় একটি মন্দিরের সামনের চাতালও। এতেই ওই কর্মীদের ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে দেন এলাকাবাসী। পরে মহকুমাশাসক বাধ্য হয়ে মন্দির ভাঙার ঘটনায় দোষীদের শাস্তির প্রতিশ্রুতি দিলে ক্ষান্ত হন তাঁরা।
কিন্তু এখানেই শেষ নয়! মীনাক্ষীর ওই ভিডিয়ো দ্রুত সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দর্শকদের। কেউ কেউ মীনাক্ষীকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন, কেউ আবার ক্ষুব্ধ তাঁর আচরণে! মহকুমা শাসক দুর্গেশ সিংহ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, কোনও মূর্তি ভাঙা হয়নি, মঞ্চ ভাঙা হয়েছে মাত্র। আপাতত জনতাকে বুঝিয়ে শান্ত করা হয়েছে। কেউ দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।