সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। — ফাইল চিত্র।
সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’-র জামিনের মামলার শুনানি পিছিয়ে গেল কলকাতা হাই কোর্টে। আগামী ১৮ মার্চ পরবর্তী শুনানি।
কলকাতা হাই কোর্টে জামিনের আবেদন করেছিলেন সুজয়কৃষ্ণ। তার মাঝেই গত ২৩ ফেব্রুয়ারি কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে হৃদ্যন্ত্রের একটি পরীক্ষা করাতে চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন ‘কাকু’। তাঁর তরফে দাবি করা হয়, কলকাতার দুই বেসরকারি হাসপাতালে এই পরীক্ষা হয়। সুজয়কৃষ্ণের ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে ইডির বক্তব্য জানতে চায় আদালত। আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, আগামী ৮ মার্চের মধ্যে নিজেদের বক্তব্য হলফনামার আকারে জানাতে হবে ইডিকে। ১১ মার্চ শুনানি হওয়ার কথা ছিল, যা পিছিয়ে গিয়েছে।
নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন সুজয়কৃষ্ণ। তার পর থেকে তিনি হাসপাতালেই রয়েছেন। মাঝে একটি বেসরকারি হাসপাতালে হৃদ্যন্ত্রের অস্ত্রোপচারও হয় সুজয়কৃষ্ণের। তাঁকে হেফাজতে নিতে চেয়ে বার বার চেষ্টা চালায় ইডি। যদিও সফল হয়নি। এ নিয়ে এসএসকেএম কর্তৃপক্ষের দিকেও আঙুল তুলেছে ইডি। তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ নিয়েও টানাপড়েন তৈরি দিয়েছিল। অবশেষে গত জানুয়ারিতে আচমকাই এক দিন জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ‘কালীঘাটের কাকু’র কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তার পর ফের এসএসকেএমে ফিরিয়ে আনা হয় তাঁকে।
এর মধ্যেই কলকাতা হাই কোর্টে জামিনের আর্জি জানান সুজয়কৃষ্ণ। আবেদনে জানিয়েছিলেন, তিনি অসুস্থ। সে কারণে জামিন দেওয়া হোক। সেই মামলার শুনানিতেই কলকাতা হাই কোর্টে মেডিক্যাল রিপোর্ট জমা দেন এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাঁরা জানিয়েছেন, সুজয়কৃষ্ণ সম্পূর্ণ ভাবে সুস্থ নন। তিনি ‘আনফিট’। তাঁর আরও চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে বলেও আদালতকে জানিয়েছে এসএসকেএম। এর আগে ১৩ ফেব্রুয়ারি ছিল জামিনের মামলার শুনানি। সেখানে ইডির আইনজীবী সওয়াল করে জানিয়েছিলেন, যে বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর বাইপাস সার্জারি হয়েছে, সেখানে তিনি আর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য যাচ্ছেন না। কারণ তিনি জানেন যে, ওই হাসপাতালকে তিনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না। ফলে তাঁকে আবার জেলে ফেরত যেতে হতে পারে। এই দাবি উড়িয়ে সুজয়কৃষ্ণের আইনজীবী দাবি করেন, একাধিক বার তাঁকে আইসিইউতে ভর্তি করাতে হয়েছে। বার বার তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। সুজয়কৃষ্ণের সেই জামিনের আবেদনের শুনানি এ বার পিছিয়ে গেল।