Kalighater Kaku

বেসরকারি হাসপাতালে হৃদ্‌যন্ত্রের পরীক্ষা করাতে চান ‘কাকু’, ইডির বক্তব্য জানতে চাইল হাই কোর্ট

সুজয়কৃষ্ণের ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে ইডির বক্তব্য জানতে চাইল আদালত। আদালতের নির্দেশ, আগামী ৮ মার্চের মধ্যে নিজেদের বক্তব্য হলফনামার আকারে জানাতে হবে ইডিকে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৯:৫৬
Share:

সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। — ফাইল চিত্র।

বেসরকারি হাসপাতালে হৃদ্‌যন্ত্রের একটি পরীক্ষা মায়োকার্ডিয়াল পারফিউশন ইমেজিং টেস্ট (এমপিআই ইমেজিং টেস্ট) করাতে চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’। তাঁর তরফে দাবি করা হয়েছে, কলকাতার দুই বেসরকারি হাসপাতালে এই পরীক্ষা হয়। সুজয়কৃষ্ণের ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে ইডির বক্তব্য জানতে চাইল আদালত। আদালতের নির্দেশ, আগামী ৮ মার্চের মধ্যে নিজেদের বক্তব্য হলফনামার আকারে জানাতে হবে ইডিকে। আগামী ১১ মার্চ শুনানি।

Advertisement

নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন সুজয়কৃষ্ণ। তার পর থেকে তিনি হাসপাতালেই রয়েছেন। মাঝে একটি বেসরকারি হাসপাতালে হৃদ্‌যন্ত্রের অস্ত্রোপচারও হয় সুজয়কৃষ্ণের। তাঁকে হেফাজতে নিতে চেয়ে বার বার চেষ্টা চালায় ইডি। যদিও সফল হয়নি। এ নিয়ে এসএসকেএম কর্তৃপক্ষের দিকেও আঙুল তুলেছে ইডি। তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ নিয়েও টানাপড়েন দেখা দিয়েছিল। অবশেষে গত জানুয়ারিতে আচমকাই এক দিন জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ‘কালীঘাটের কাকু’র কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তার পর ফের এসএসকেএমে ফিরিয়ে আনা হয় তাঁকে।

এর মধ্যেই কলকাতা হাই কোর্টে জামিনের আর্জি জানান সুজয়কৃষ্ণ। আবেদনে জানিয়েছিলেন, তিনি অসুস্থ। সে কারণে জামিন দেওয়া হোক। সেই মামলার শুনানিতেই কলকাতা হাই কোর্টে মেডিক্যাল রিপোর্ট জমা দেন এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাঁরা জানিয়েছেন, সুজয়কৃষ্ণ সম্পূর্ণ ভাবে সুস্থ নন। তিনি ‘আনফিট’। তাঁর আরও চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে বলেও আদালতকে জানিয়েছে এসএসকেএম। এর আগে ১৩ ফেব্রুয়ারি ছিল জামিনের মামলার শুনানি। সেখানে ইডির আইনজীবী সওয়াল করে জানিয়েছিলেন, যে বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর বাইপাস সার্জারি হয়েছে, সেখানে তিনি আর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য যাচ্ছেন না। কারণ তিনি জানেন যে, ওই হাসপাতালকে তিনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না। ফলে তাঁকে আবার জেলে ফেরত যেতে হতে পারে।

Advertisement

এই দাবি উড়িয়ে সুজয়কৃষ্ণের আইনজীবী দাবি করেন, একাধিক বার তাকে আইসিইউ তে ভর্তি করতে হয়েছে। বার বার তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। এর পরেই বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘‘গত অগস্ট থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। ফলে, অসুস্থতার কারণে তাঁর জামিনের আবেদন বিবেচনা করা কি ঠিক হবে ?’’ শুনানি শেষ হলেও নির্দেশ স্থগিত রাখা হয়। ২৩ ফেব্রুয়ারি রায় দেওয়ার কথা ছিল। এ বার শুক্রবার নতুন করে বেসরকারি হাসপাতালে হৃদ্‌যন্ত্রের পরীক্ষা করানোর আবেদন জানালেন ‘কাকু’। হৃদ্‌যন্ত্রের পেশির মধ্যে দিয়ে কী ভাবে রক্ত সঞ্চালিত হচ্ছে, তা দেখার জন্য এই পরীক্ষা করানো হয়। এ নিয়ে ইডির বক্তব্য জানতে চাইল আদালত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement