সিঁদুরখেলা দিয়েই শেষ হল এ বারের হাজরা পার্কের দুর্গোৎসব। নিজস্ব চিত্র
তিথি অনুযায়ী বিজয়া দশমী অতিক্রান্ত। কিন্তু মহানগরীর বহু বড় পুজোমণ্ডপের প্রতিমা বিসর্জন হল রবিবারঅর্থাৎ দ্বাদশী তিথিতে। সেই বিসর্জনের আগে সিঁদুরখেলায় মাতলেন হাজরা পার্ক সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি।কোভিড পরিস্থিতির কারণেই গতবছর থেকেই নিজেদেরপুজোর পরিসর ছোট করেছে বিভিন্ন পুজোকমিটি। তাই এবারও ছোট পরিসরেই হয়েছিল হাজরা পার্কের দুর্গোৎসব।তবে আগামী বছর কোভিডমুক্ত পৃথিবীর আশায়, বড় পুজো করার স্বপ্ন উদ্যোক্তাদের মনে। সিঁদুরখেলায় মা দুর্গার বিসর্জন দিলেন পুজো কমিটির সদস্যেরা।রবিবার বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ শুরু হয় হাজরা পার্কের সিঁদুরখেলা, পাশাপাশি চলে দেবীবরণ। দক্ষিণ কলকাতার খ্যাতনামা এই পুজোর শেষলগ্নের সেই আনন্দের সাক্ষী থাকল আনন্দবাজার অনলাইন।
পুজো কমিটির সম্পাদক সায়নদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘গত বছর থেকে আমরা পুজোর পাশাপাশি, সিঁদুরখেলার আয়োজনেও রাশ টেনেছি। অল্প কয়েকজনকে নিয়েই সিঁদুরখেলা হয়েছে। আগামী বছর পরিস্থিতি বুঝে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।’’ হাজরা পার্কের দেবীবরণে এসেছিলেন অভিনেত্রী লোপামুদ্রা মণ্ডল। সিঁদুরখেলায় অংশ নিয়ে আপ্লুত অভিনেত্রী বলেন, ‘‘আমি প্রতি বছর হাজরা পার্কের পুজো দেখতে আসি। প্রতিমাবরণের পাশাপাশি সিঁদুরখেলাতেও অংশ নিই। আগামী বছর এই পুজোর ৮০তম বছর। আশা করব, আগামী বছর আরও বেশি আনন্দ করতে পারব।’’
পুজো কমিটির অন্যতম সদস্য শাঁওলী চট্টোপাধ্যায়। বিয়ের পর এটাই প্রথম দেবীবরণ। তাঁর কথায়, ‘‘এতদিন হাজরা পার্কে সিঁদুরখেলেছি। এ বার দেবীবরণের সঙ্গে সিঁদুরখেলায় নতুন আনন্দ পেলাম।’’