—প্রতীকী চিত্র।
তিন বছরের মধ্যে জিএসটি রিটার্ন দিতে হবে সবাইকে। বর্তমান আইনে সময়সীমার কোনও উল্লেখ ছিল না। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় ‘দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স (সংশোধনী) বিল ২০২৩’ পাশ হয়ে গেল। এই বিলটি পাশ হওয়ার পর রাজ্যের অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, এ বার থেকে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের উদ্যোগীরাও ই-কমার্সের মাধ্যমে ব্যবসা করতে গেলে বিশেষ ছাড় পাবেন। এ ছাড়াও জিএসটি সংক্রান্ত বিভিন্ন মামলার নিষ্পত্তি করার জন্য ট্রাইবুনাল তৈরি করার বিষয়েও আইন তৈরি হয়েছে। তাতে রাজ্য স্তরে জিএসটি ট্রাইবুনাল গঠনের সময় রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে।
কাউন্সিল ক্যাসিনো, ঘোড়া দৌড়, অনলাইন লটারির উপর ২৮ শতাংশ কর জিএসটি বসাবে। এই বিষয়ে আপত্তি তুলেছিল সিকিম, গোয়া ও দিল্লি। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ তাদের তোলা প্রতিবাদের পাল্টা প্রতিবাদ করেছে। চন্দ্রিমার দাবি, এই প্রশ্নে বাংলার সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছে বিজেপিশাসিত উত্তরপ্রদেশ-সহ বহু রাজ্য। প্রতি তিন বছর মধ্যে ব্যবসায়িক রিটার্ন জমা দিতে হবে। সেই সময় সীমা এই নতুন আইনের মারফত বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এই জিএসটি কর আগামী অক্টোবর মাস থেকে চালু হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় সরকারকে খোঁচা দিয়ে তিনি জানান, রাজ্যের এখন ঋণের পরিমাণ ৫.৮৬ লক্ষ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় সরকারের ঋণের পরিমাণ ১৫২.৬২ লক্ষ কোটি টাকা। তাই কেবলমাত্র পশ্চিমবঙ্গ সরকার ঋণে জর্জরিত বলে বিজেপি যে অভিযোগ করছে, তা সত্য নয়।