পণ্য পরিবহণে কড়া পদক্ষেপ প্রশাসনের। — ফাইল চিত্র।
রাজ্যের পণ্য পরিবহণে যে কোনও ধরনের ট্রাক বা লরির ব্যবহারে এ বার রাশ টানতে চলেছে পরিবহণ দফতর। সম্প্রতি একটি বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে পরিবহণ দফতরের তরফে। বিজ্ঞপ্তিটি জারি করেছেন দফতরের সচিব সৌমিত্র মোহন। সেই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এখন থেকে আর জাতীয় পারমিট থাকা কোনও পণ্য পরিবহণকারী যান, যেমন ট্রাক বা লরি পশ্চিমবঙ্গের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে মালপত্র নিয়ে যেতে পারবে না।
এ ক্ষেত্রে কেবলমাত্র পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পারমিট থাকা পণ্য পরিবহণকারী যানগুলি এই কাজ করতে পারবে। এই সিদ্ধান্ত যে কেন্দ্রীয় পূর্ত সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনার পরেই নেওয়া হয়েছে তা-ও বিজ্ঞপ্তি শুরুতেই উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, গত কয়েক বছর ধরেই রাজ্যের পণ্য পরিবহনে জাতীয় পারমিট থাকা ট্রাক বা লরিগুলি পশ্চিমবঙ্গে এসে কাজ করছে বলে অভিযোগ জমা পড়ছিল। বিষয়গুলি পরিবহণ দফতরের নজরে আসে বিভিন্ন বিল এবং চালানের রসিদ দেখার পর। প্রথমে বিষয়টি নিয়ে আমল না দেওয়া হলেও, পরে গুরুত্ব বুঝে আলোচনা শুরু হয় দফতরের আধিকারিকদের মধ্যে।
ধারাবাহিক বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় পূর্ত সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনার পরেই বিজ্ঞপ্তি জারি করে পরিবহণ দফতর। সেই বিজ্ঞপ্তিতে বলে দেওয়া হয়েছে, জাতীয় পারমিট থাকা কোনও গাড়ি পশ্চিমবঙ্গে পণ্য পরিবহণের কাজ করতে পারবে না। প্রসঙ্গত, জাতীয় পারমিট থাকা অন্য রাজ্য থেকে আসা ট্রাকগুলি পশ্চিমবঙ্গে পণ্য পরিবহণের কাজ করায় রাজ্যের রাজস্বের ক্ষতি হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ রাজ্যে এসে তুলনামূলক ভাবে কম খরচে তারা পণ্য পরিবহণের কাজ করায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এ রাজ্যের ট্রাক এবং লরির মালিকরা। তাঁরাও নিজেদের প্রতিবাদের কথা পরিবহণ দফতরকে জানিয়েছিলেন। তাই পরিবহণ দফতর সব দিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, ভিন্রাজ্য থেকে আসা জাতীয় পারমিট থাকা লরি এবং ট্রাকের ক্ষেত্রে পণ্য পরিবহণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে।
তবে বিশেষ কোনও ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের অনুমতিক্রমে জাতীয় পারমিট নিয়ে লরি বা ট্রাক পশ্চিমবঙ্গের রাস্তায় চলাচল করতে পারবে। পরিবহন দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, “পরিবহণ দফতর চাইছে পশ্চিমবঙ্গের পণ্য পরিবহণ ব্যবসার ক্ষেত্রে কাজ কর্মের বিষয়টি রাজ্যের মধ্যেই ধরে রাখতে। তাই ভিন্রাজ্যের ট্রাক এবং লরির প্রবেশ আটকাতে এই বিজ্ঞপ্তিটি জারি করা হয়েছে।”