নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিংহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মোট ১১দফা দাবির একটি স্মারকলিপি তুলে দেন। ছবি: সংগৃহীত।
কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে ভোটের দাবি আগেই জানিয়েছিল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। রবিবার আরও এক কদম এগিয়ে ভোটের দিন প্রতি বুথে চার জন করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রাখার দাবি জানাল তাঁরা। নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিংহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে একটি দু’পাতার স্মারকলিপি তুলে দেন তাঁর হাতে। তাতেই মোট ১১দফা দাবি জানানো হয়েছে সুষ্ঠু ভাবে পঞ্চায়েত ভোট পরিচালনার জন্য।
অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সুনিশ্চিত করতে চায় কমিশন। ছবি: সংগৃহীত।
দাবিপত্রে লেখা হয়েছে, ‘‘অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে সুনিশ্চিত করতে এবং ভোটার ও ভোটকর্মীদের সুরক্ষা প্রদানে অবিলম্বে আদালতের নির্দেশ পালন করতে হবে এবং প্রতিটি বুথে চার জন করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান মোতায়েন করতে হবে।’’
ভোটগ্রহণ তো বটেই, ভোট গণনার সময়েও কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। একটি দাবিতে লেখা হয়েছে, গণনার সময় নিরাপত্তার বলয় তৈরি করতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর তত্ত্বাবধানে। গণনা কেন্দ্রগুলি সরাসরি লাইভ ভিডিয়ো কাস্টিংয়ের ব্যবস্থা রাখারও দাবি জানিয়েছেন। এ ছাড়াও সব ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ওয়েব ক্যামেরা ও ওয়েবকাস্টিংয়ের ব্যবস্থা রাখার দাবিও জানানো হয়েছে।
ভোটগ্রহণের সময় কোনও ভোটকর্মী শারীরিক বা মানসিক ভাবে হেনস্থার শিকার হলে তবে তার দায়ভার সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে। সঙ্গে তৎক্ষনাৎ অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের এক সদস্যের কথায়, ‘‘রাজ্য পুলিশের উপর আমাদের আস্থা কম। তাই আমরা গোটা নির্বাচন প্রক্রিয়ায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার দাবি জানিয়েছি।’’ সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের অবস্থান ১৫০তম দিনে পা রাখল। মহার্ঘ ভাতার দাবিতে গত ১৫০ দিন ধরে শহিদ মিনারে ধর্না অবস্থান করছেন তাঁরা। রবিবার শিয়ালদহ ও হাওড়া স্টেশন থেকে প্রতিবাদ মিছিল এসে মিলিত হয় শহিদ মিনারের মঞ্চে।