প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
তৎকাল বিবাহ ব্যবস্থা চালু করতে চলেছে রাজ্য সরকার। নবান্ন সূত্রে খবর, আইন দফতর এ সংক্রান্ত বিষয়ে অনেক দূর অগ্রসর হয়েছে। হিন্দু ম্যারেজ অ্যাক্ট মেনে যে ভাবে বিয়ে হত, সেই বিয়ের পদ্ধতিতে এ বার বদল আনা হবে। বর্তমানে হিন্দু ম্যারেজ অ্যাক্ট অনুযায়ী, সামাজিক বিয়ের পর আবেদন করলে রেজিস্ট্রির জন্য সাত দিন সময় লাগে। তারপর অষ্টম দিনে রেজিস্ট্রি বিয়ে করতে পারেন নব-দম্পতি। নতুন নিয়মে সেই পদ্ধতিতে বদল আসছে। এ বার তা একদিনেই করা যাবে।
বর্তমান নিয়মে সামাজিক বিয়ের দিন কিংবা তার আগে রেজিস্ট্রি বিয়ে করতে চাইলে তাঁদের ন্যূনতম ৩০ দিন আগে আবেদন করতে হয়। স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্টের ১৩ নম্বর ধারায় একটি নির্দিষ্ট আবেদনপত্রে পাত্রপাত্রীর নামধাম-সহ বয়সের প্রমাণপত্র দিয়ে আবেদনপত্র দাখিল করতে হয়। কিন্তু নতুন পদ্ধতি চালু হয়ে গেলে সঠিক নথি জমা দিয়ে তৎকাল বিবাহের ব্যবস্থা চালু হলে বিয়ের একদিনের মধ্যেই রেজিস্ট্রি বিয়ে সেরে ফেলতে পারবেন দম্পতি। তবে এই ব্যবস্থা করা হচ্ছে কেবলমাত্র হিন্দু ম্যারেজ অ্যাক্টকে সামনে রেখে।
রাজ্যের আইন দফতর এই বিষয়ে কাজকর্ম অনেক দূর সেরে ফেলেছে। আর কয়েকটি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেই, তা প্রস্তাব আকারে পাঠানো হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভার বৈঠকে। সেখানে পাশ হয়ে গেলে, তা কার্যকর করা হবে। তবে সেই প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হতে আরও ছ’মাসের মতো লেগে যাবে। কারণ মন্ত্রিসভায় পাশ হওয়ার পর তা যাবে রাজ্যের ম্যারেজ রেজিস্ট্রারের কাছে। সেখানে নতুন এই পদ্ধতির খুঁটিনাটি বিষয় খতিয়ে দেখার পরেই তা চালু করা সম্ভব হবে। আইন দফতর সূত্রে খবর, তৎকাল বিবাহ ব্যবস্থা চালু হতে পারে ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে। পশ্চিমবঙ্গের আগে একমাত্র দিল্লিতেই এই ধরনের তৎকাল বিবাহ ব্যবস্থা চালু করা সম্ভব হয়েছে।
অফলাইনে যেমন তৎকাল বিবাহের জন্য আবেদন করা যাবে, তেমনই বিদেশে থাকা ভারতীয়দের জন্যও এই পরিষেবা প্রদান করতে অনলাইন ব্যবস্থাও করা হবে। তবে সবার আগে প্রয়োজন এই সিদ্ধান্তর মন্ত্রিসভার অনুমোদনের। পঞ্চায়েত ভোটের কারণে এখন সম্ভবত মন্ত্রিসভার বৈঠক সম্ভব হচ্ছে না। পঞ্চায়েতের ভোটপর্ব মিটে গেলেই বসবে মন্ত্রিসভার বৈঠক। সেই বৈঠকেই সম্ভবত ছাড় পেতে পারে এই তৎকাল বিবাহ ব্যবস্থা।