ইয়াসিরের হাতে পতাকা তুলে দিচ্ছেন অধীর চৌধুরী। —পিটিআই।
বাংলার রাজনীতিতে দলবদলের বিষয় এখন স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে। তবে সেই দলবদলে দেখা যায় দুর্বলের দিক থেকে শক্তিশালীর দিকেই যান বেশির ভাগ নেতানেত্রী। কিন্তু শনিবারের বারবেলায় কিছুটা ‘ব্যতিক্রমী’ দলবদল হয়ে গেল প্রদেশ কংগ্রেস দফতরে। তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে শামিল হলেন যুব তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের জামাই ইয়াসির হায়দার। তাঁর হাতে কংগ্রেসের পতাকা তুলে দেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।
ফিরহাদের বড় মেয়ে প্রিয়দর্শিনীর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ইয়াসিরের। তবে বেশ কিছু দিন ধরে তাঁরা আলাদা থাকেন। ফিরহাদের বাড়িতে থাকেন মেয়ে। তাঁদের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। আর ইয়াসির থাকেন এন্টালিতে। ইয়াসির যুব তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক পদে ছিলেন বলে তাঁর দাবি। তবে কোনও কালেই প্রথম সারির নেতা ছিলেন না তিনি।
অনেকের মতে, রাজনীতিতে ধারণাই মূল কথা। সেই দৃষ্টিভঙ্গি থেকে কংগ্রেস দেখাতে চাইল, তাঁরা তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের পরিবারে ‘ভাঙন’ ধরাতে পারল। এ নিয়ে কলকাতায় পুরসভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ফিরহাদ বলেন, ‘‘এ রাজ্যে কংগ্রেস পার্টিটা এ বার উঠে যাবে। পরগাছাদের নিয়ে রাজনীতি করতে চাইছে। আত্মীয়স্বজনদের নিয়ে দলে টানতে চাইছে। আমার মেয়ের সঙ্গে ওর (ইয়াসির) পোষাচ্ছে না। এটা আমার ব্যক্তিগত বিষয়। আমি এ নিয়ে আর কিছু বলব না।’’
কংগ্রেসে যোগ দিয়ে ইয়াসির বলেন, ‘‘যে দল মানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে, সেখানে থেকে রাজনীতি করা যায় না। তৃণমূলের জন্ম তো কংগ্রেস থেকে। অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বে কাজ করতে আমি শতাব্দীপ্রাচীন দলে শামিল হলাম।’’