ফিরহাদ হাকিম। ফাইল চিত্র।
নীলবাড়ির লড়াইয়ে বিপুল সাফল্যের পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তর্কাতিত ভাবে নেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বভার পেয়েই ঘোষণা করেছেন, তাঁর পাখির চোখ দলের জাতীয় স্তরে উত্তরণ। তৃণমূলে কি তা হলে পরবর্তী প্রজন্মের হাতে দলের ভার তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে? শনিবার রাতে অ-জানাকথায় এমন প্রশ্নের জবাব দিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আস্থাভাজন ফিরহাদ হাকিম (ববি)। দ্ব্যর্থহীন ভাবে জানালেন, পরের প্রজন্মের মুখ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ই।
ববির কথায়, ‘‘একটা সময় ছিল, যখন ভাল গালাগালি দিতে পারাকেই কংগ্রেসের কাউন্সিলর হওয়ার যোগ্যতা বলে মানা হত।’’ কিন্তু তাঁর দাবি, এ বার ছোট লালবাড়ির লড়াইয়ে সেই পুরনো ‘প্রথা’র অবসান ঘটিয়েছে তৃণমূল। অ-জানাকথায় ফিরহাদের দাবি, ‘‘এখন যাঁরা আমাদের কাউন্সিলর, তাঁদের মধ্যে কমবয়সি অনেক ছেলেমেয়ে আছেন, যাঁরা উচ্চশিক্ষিত। দলের এই উচ্চশিক্ষিত কমবয়সি ব্রিগেডের নেতৃত্বে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।’’ পরবর্তী প্রজন্ম সম্পর্কে ফিরহাদ বলেন, ‘‘মমতাদি নিজেও এটা নিয়ে খুব উৎসাহী। পরের প্রজন্ম তৈরি করতেই হবে। পরের প্রজন্ম না তৈরি করতে পেরে সিপিএমের কী অবস্থা হয়েছে, সেটা তো দেখেছি। আমরা যে নীতি আদর্শ নিয়ে এত দিন ধরে লড়াই করেছি, মমতাদি নিজের জীবনটা পুরোটাই দিয়ে দিয়েছেন। সেই নীতি আদর্শকে পাথেয় করে আগামী দিনেও মানুষের ভাল হোক, এটা তো আমরা চাইবই। তাই নিশ্চিত ভাবে চাই পরের প্রজন্ম আসুক।’’
ফিরহাদ বলেন, ‘‘অভিষেক তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। দলটিকে জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে প্রাসঙ্গিক করে তুলবে, এমন স্বপ্ন থাকা অভিষেকের কাছে অত্যন্ত ন্যায্য। এবং সেই চেষ্টা ও করছে। আমি ত্রিপুরায় গিয়ে দেখেছি, ওখানে আমাদের সংগঠন বেশ শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। ও যদি চেষ্টা করে, দলের বিস্তার ঘটাতে পারে। এটা আমাদের কাছে খুবই আনন্দের।’’
এই প্রসঙ্গে ওঠে ক’দিন আগের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের প্রসঙ্গও। অভিষেকের নেতৃত্ব নিয়ে কি দলের অভ্যন্তরে সত্যিই কোনও মতবিরোধ আছে? এই প্রসঙ্গে ববির সাফ কথা, ‘‘আমাদের দলে এ নিয়ে কোনও মতবিরোধ নেই। যা রটছে এগুলো সবই মশলা খবর। অভিষেক থেকে আমি, সকলেই আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক। উনি আমাদের যা দায়িত্ব দেবেন, সেটাই আমরা সবাই মিলে পালন করব।’’