উপনির্বাচনের দাবিতে নির্বাচন কমিশনের রাজ্য দফতরে যাবেন তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতারা। ফাইল চিত্র
শুক্রবার শেষ হচ্ছে উপনির্বাচনের ইভিএম ও ভিভিপ্যাট-এর পরীক্ষা। আর সেইদিনই উপনির্বাচনের দাবিতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরে যাবে তৃণমূল। বৃহস্পতিবার উপনির্বাচন সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, ‘‘আগামিকাল আমরা নির্বাচন কমিশনের দফতরে যাব। নির্বাচন কমিশনে গিয়ে দাবি করব, রাজ্যের যে দু’টি নির্বাচন ও পাঁচটি উপনির্বাচন বাকি আছে তা যত শীঘ্র সম্ভব করার জন্য।’’ তৃণমূল সূত্রে খবর, শুক্রবার দুপুর আড়াইটেয় নির্বাচন কমিশনের দফতরের যাবেন পার্থ-সহ তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি তথা রাজ্যসভার সাংসদ সুব্রত বক্সী ও তৃণমূলের বিধানসভার উপমুখ্যসচেতক তাপস রায়। উল্লেখ্য, গত ১৫ জুলাই দিল্লিতে মুখ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরে গিয়ে রাজ্যে বকেয়া সাতটি বিধানসভার নির্বাচনের জন্য মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্রর কাছে দরবার করেছিল তৃণমূলের প্রতিনিধিদল।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের মোট সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট বকেয়া রয়েছে। জঙ্গিপুর ও শামসেরগঞ্জে সাধারণ বিধানসভা নির্বাচনের সময়ই ভোট হয়নি। দু’টি ক্ষেত্রেই প্রার্থীদের মৃত্যুর জন্য ভোট করা যায়নি। আর ভোটের ফলাফল ঘোষণার আগেই করোনা সংক্রমণে মারা গিয়েছেন খড়দহ কেন্দ্রের বিজয়ী তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিংহ। বিধায়ক পদে শপথ নেওয়ার পরে মারা গিয়েছেন গোসাবার তৃণমূল বিধায়ক জয়ন্ত নস্করও। এছাড়াও, জিতেও সাংসদ পদে থেকে যাওয়া দিনহাটা ও শান্তিপুর বিধানসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক ও জগন্নাথ সরকার। তাছাড়া ভবানীপুর বিধানসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তাই সব মিলিয়ে সাতটি কেন্দ্রে নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার অপেক্ষায় তৃণমূল নেতৃত্ব।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আগামী ৫ নভেম্বরের মধ্যে উপনির্বাচনে জিতে সাংবিধানিক শর্তপূরণ করতে হবে। সঙ্গে কৃষিমন্ত্রী শোভনদেবকেও কোনও একটি কেন্দ্র থেকে জিতে আসতে হবে। তবেই তিনিও মন্ত্রী পদে বহাল থাকতে পারবেন। তৃণমূল সূত্রে খবর, এই উপনির্বাচনে ভবানীপুরে মুখ্যমন্ত্রী ও খড়দহে শোভনদেব প্রার্থী হতে পারেন। তবে রাজ্য নির্বাচন দফতর সূত্রে খবর, তাঁরা উপনির্বাচনের যাবতীয় প্রস্তুতি রাখছেন। ইভিএম ও ভিভিপ্যাট চেকিং করে ত্রুটিপূর্ণ যন্ত্রগুলি বাদ দেওয়ার কাজ বৃহস্পতিবার শেষ হচ্ছে। যদিও, ভোটের সময়ই জঙ্গিপুর ও শামসেরগঞ্জে এই কাজ আগে হয়ে গিয়েছে। অতি সম্প্রতি ভবানীপুরের ক্ষেত্রে ইভিএম ও ভিভিপ্যাট চেকিং করে ত্রুটিপূর্ণ যন্ত্রগুলি বাদ দেওয়ার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। খড়দহ, গোসাবা, শান্তিপুর ও দিনহাটার কাজ শেষ হবে শুক্রবার।