সোমবারই সিজিও কমপ্লেক্সে এসেছিলেন শাহজাহান-পত্নী। গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।
শাহজাহান শেখের বেআইনি কারবারের সন্ধান পেতে এ বার তাঁর স্ত্রীকেও জেরা করছে ইডি। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের তলব পেয়ে সোমবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ইডির দফতরেই ছিলেন শাহজাহান-পত্নী। টানা জিজ্ঞাসাবাদের পরও তাঁকে আবার মঙ্গলবার আবার সমন পাঠিয়েছে ইডি। সেই সমনে বুধবারই শাহজাহানের স্ত্রীকে ইডির প্রশ্নের জবাব দিতে আসতে বলা হয়েছে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে।
শাহজাহানের স্ত্রীর নাম তসলিমা বিবি। তিনি গৃহবধূ। সন্দেশখালির সরবেরিয়াতেই থাকেন। ইডির উপর সরবেরিয়ায় হামলার ঘটনার পর যখন শাহজাহান পালিয়ে বেড়াচ্ছেন, তখন এক বার স্ত্রীর অসুস্থতার কারণও দেখিয়েছিলেন সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শাহজাহান। আদালতকে জানিয়েছিলেন, স্ত্রীর অসুস্থতার জন্যই আপাতত তিনি হাজিরা দিতে পারছেন না। তবে এই প্রথম প্রকাশ্যে এলেন শাহজাহানের স্ত্রী তসলিমা।
শাহজাহানের মাছের ব্যবসায় মেয়ে সাবিনার নাম রয়েছে। তসলিমার নামেও কিছু সম্পত্তি কেনা হয়েছে বলে ধারণা ইডির। সেই সূত্রেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে তসলিমাকে। ইডির অনুমান, শাহজাহানের ব্যবসার অনেক গোপন কথাও জানতে পারেন শাহজাহান-পত্নী ।
এই মর্মেই সোমবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত তসলিমাকে সিজিওতে জেরা করেন ইডির গোয়েন্দারা। রাতে কালচে নীল বোরখায় আপাদমস্তক আবৃত (শুধু চোখের অংশটুকু খোলা) তসলিমাকে শাহজাহানের মাদক ব্যবসা নিয়ে বার বার প্রশ্ন করা হলেও তিনি একটিও জবাব দেননি। সিজিও চত্বরে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সামনে টুঁ শব্দটিও করেননি শাহজাহান-পত্নী। কোনও এক আত্মীয় তাঁর হাত ধরে হনহনিয়ে হেঁটে বেরিয়ে গিয়েছেন। তসলিমাও ক্যামেরা এড়িয়ে মুখ বুজে হেঁটে গিয়েছেন।
তবে ইডি তসলিমার পাশাপাশি সিজিওতে ডেকে পাঠিয়েছে শাহজাহানের এক ব্যবসায়ী সহযোগীকেও। নাম হাসান। শাহজাহানকে মাছের ব্যবসায় চিংড়ি মাছ জোগান দিতেন এই হাসান। ইডির গোয়েন্দাদের একাংশ মনে করছেv, শাহজাহানের ব্যবসা এবং ব্যবসার টাকা নিয়ে অনেক তথ্যই থাকতে পারে হাসানের কাছে। শাহজাহানের ব্যবসার সন্ধানে এর আগে ধামাখালির মাছের বাজারে অভিযান চালিয়েছিল ইডি। সেই সূত্রেই হাসানকে ডেকে পাঠানো হয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর।