প্রশান্ত কিশোর। —ফাইল চিত্র।
লোকসভা ভোটে কংগ্রেস ‘কাঙ্ক্ষিত ফল’ না করলে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ানো উচিত। সম্প্রতি এমনই মতপ্রকাশ করেছিলেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর, যিনি পিকে নামেই সমধিক পরিচিত। এই ব্যাপারে কংগ্রেসের বক্তব্য, তারা কোনও ‘পরামর্শদাতা’র মন্তব্য নিয়ে জবাব দিতে চায় না। মনে করা হচ্ছে পিকে-র পুরনো পেশা নিয়েই এই খোঁচা দিতে চেয়েছে কংগ্রেস। কারণ সাম্প্রতিক অতীতে একাধিক রাজনৈতিক দলের পরামর্শদাতা হিসাবে সাফল্য পেয়েছেন তিনি। এখন অবশ্য বিহারে নিজের রাজনৈতিক মঞ্চ ‘জন সুরাজে’র কাজে ব্যস্ত।
গত রবিবার সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর সম্পাদকদের সঙ্গে একটি আলাপচারিতায় রাহুল সম্পর্কে পিকে বলেন, “যখন গত দশ বছর ধরে আপনি একটি কাজ করে যাবেন, কিন্তু কোনও সাফল্য পাবেন না, তখন বিরতি নিলে আপনার কোনও ক্ষতি হবে না। বরং আপনার উচিত অন্য কাউকে পাঁচ বছরের জন্য দায়িত্ব দেওয়া।” ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে ভরাডুবির পর কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন রাহুল। সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে পিকে বলেন, “সেই সময় ওয়েনাড়ের সাংসদ (রাহুল) লিখেছিলেন যে, তিনি সরে যাচ্ছেন এবং অন্য কেউ তাঁর পরিবর্তে কাজ করবে। কিন্তু বাস্তবে তিনি যা লিখেছিলেন, তাঁর উল্টোটা করেছিলেন।” তার পরেই পিকে ইঙ্গিত করেন যে, কংগ্রেস নেতারা নিজেরা কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেন রাহুলই।
সোমবার কংগ্রেস এবং রাহুলকে দেওয়া পিকে-র ‘পরামর্শ’ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কংগ্রেস মুখপাত্র সুপ্রিয়া শ্রীনতে বলেন, “আমি পরামর্শদাতার মন্তব্যের কোনও উত্তর দেব না। রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নিয়ে কথা বলুন। কেন পরামর্শদাতাদের নিয়ে উত্তর দেব?” প্রসঙ্গত, কংগ্রেসের দল পরিচালনার নীতি নিয়ে বেশ কয়েক দিন ধরেই ‘সরব’ পিকে। সাম্প্রতিক অতীতে কংগ্রেসকে ‘পুনরুজ্জীবিত’ করতে নির্দিষ্ট পরিকল্পনার কথা বলেছিলেন পিকে। কিন্তু তার প্রয়োগ নিয়ে কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে মতবিরোধ হয় তাঁর।