—ফাইল চিত্র।
ঝড়গ্রামের এক সরকারি আধিকারিককে সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠাল ইডি। ১০০ দিনের কাজের ‘দুর্নীতি’র তদন্তে মঙ্গলবারই এই আধিকারিককে তাঁর আবাসনে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন ইডি আধিকারিকেরা। এ বার তাঁকে ডেকে পাঠানো হল সল্টলেকে ইডি দফতরেও।
১০০ দিনের কাজের ‘দুর্নীতি’র তদন্তে নেমেছে ইডি। মঙ্গলবার এই সূত্রেই রাজ্যের চারটি জেলা— কলকাতা, হুগলি, মুর্শিদাবাদ এবং ঝাড়গ্রামের চারটি শহরে সাতসকালে পৌঁছে যায় ইডি আধিকারিকদের দল। এর মধ্যেই ঝাড়গ্রাম শহরের বাছুরডোবা থানা এলাকার সরকারি আবাসনে পৌঁছয় ইডির একটি দল। পরে জানা যায় সেখানে ঝাড়গ্রামের সংখ্যালঘু দফতরের এক আধিকারিককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে স্থানীয় থানার পুলিশ পৌঁছলেও তাদেরকে আবাসনের ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। বুধবার ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, এই সরকারি আধিকারিককেই কিছু নথিপত্র নিয়ে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ আগামী সপ্তাহের বৃহস্পতিবার ইডি দফতরে ডেকে পাঠানো হয়েছে।
ইডি সূত্রে খবর ১০০ দিনের কাজের টাকা নয়-ছয়ের অভিযোগের তদন্ত করতে নেমে ইডির নজরে পড়েছে জাতিগত শংসাপত্র নিয়ে দুর্নীতির বিষয়টি। সেই সূত্রেই ঝাড়গ্রামের ওই আধিকারিককে জিজ্ঞাসাবাদ করে তারা। তবে মঙ্গলবার এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ পর্বে ইডি এ-ও জেনেছে যে, শংসাপত্র দেওয়ার বিষয়টি মূলত স্থানীয় পঞ্চায়েতের হাতেই থাকে। তাই যে সমস্ত এলাকা থেকে এই অভিযোগ এসেছে সেখানকার পঞ্চায়েতগুলিও রয়েছে ইডির নজরে।