প্রতীকী চিত্র।
মদের আসরে আচমকাই ঝামেলা বাধে দুই বন্ধুর মধ্যে। সেই ঝামেলা চলাকালীনই বন্ধুকে ঘুষি মেরে খুন করার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনার পরই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে ধৃতের দাবি, এটা খুন নয়, নেহাতই দুর্ঘটনা।
জানা গিয়েছে, মৃতের নাম রাকিবুল ইসলাম। মুর্শিদাবাদের ইসলামপুর থানা এলাকার বাসিন্দা তিনি। তবে কাজের সন্ধানে অনেক দিন হল বাড়িছাড়া। কেরলের এর্নাকুলামে কাজ করতেন রাকিবুল। তাঁর সঙ্গে একই সঙ্গে কাজ করতেন শিলিগুড়ির এক যুবকও। থাকতেন একই এলাকায়। দু’জনেই পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হওয়ায় বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছিল।
অভিযোগ, মঙ্গলবার কাজের শেষে দু’জনেই এক সঙ্গে মদ্যপান করছিলেন। সেই সময় কোনও এক বিষয় নিয়ে দু’জনের মধ্যে বচসা শুরু হয়। বচসা শেষ পর্যন্ত হাতাহাতিতে গড়ায়। নেশার ঘোরে রাকিবুলকে ঘুষি মারেন অভিযুক্ত যুবক। মুহূর্তের মধ্যে জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে পড়ে যান তিনি। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকেরা রাকিবুলকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ঘটনার কিছু ক্ষণ পরেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে কেরল পুলিশ। পুলিশি জেরায় দোষ স্বীকার করেন অভিযুক্ত। তবে তাঁর দাবি, “রাতে আমরা খাওয়াদাওয়া করছিলাম। ও (রাকিবুল) মদ্যপ অবস্থায় আমার উপর চড়াও হয়। আমার গলা টিপে ধরে। আমি নিজেকে বাঁচাতে ওকে সরাতে যাই। তখনই এই ঘটনা ঘটে। এটা একটা দুর্ঘটনা। ইচ্ছা করে কিছুই করিনি।’’
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, দুই বন্ধুর মধ্যে বচসার জেরেই খুনের ঘটনা ঘটেছে। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। আরও জানা গিয়েছে, ময়নাতদন্তের পর রাকিবুলের দেহ মুর্শিদাবাদের বাড়িতে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে কেরল পুলিশ। অন্য দিকে, রাকিবুলের মৃত্যুর খবর গ্রামের বাড়িতে পৌঁছেছে। কিন্তু কী ভাবে এমন ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে ধোঁয়াশায় পরিবারের লোকজন। সেই সঙ্গে দোষীর কড়া শাস্তির দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা।