প্রতীকী ছবি।
গরু এবং কয়লা কাণ্ডে সিবিআইয়ের পর এ বার তদন্তে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এই দুটি মামলাতেই তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
গরু পাচার কাণ্ডে বিএসএফ কমান্ড্যান্ট সতীশ কুমারকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। জেল হেফাজতে মূল অভিযুক্ত এনামুল হক। গরু পাচারের কোটি কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য পেয়েছে সিবিআই। ঠিক একই ভাবে কয়লা কাণ্ডেও ইসিএল, রেল কর্মী-সহ একাংশ লোকজনের নামও যেমন পাওয়া যাচ্ছে, তেমন আর্থিক তছরুপেরও অভিযোগ উঠছে। এই দু’টি ঘটনাতে আর্থিক তছরুপের দিকটি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে ইডি।
ইতিমধ্যেই তারা চিঠি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে এ বিষয়ে জানতে চেয়েছে। শুরু হয়েছে প্রাথমিক তদন্ত। কাদের কাদের নাম পাওয়া যাচ্ছে, তাঁদের অ্যাকাউন্টে কত টাকা রয়েছে, কত টাকা লেনদেন হয়েছে— এই সব বিষয় খতিয়ে দেখা হবে বলে ইডি সূত্রের খবর। সিআইএসএফ-এর বেশ কয়েক জনের নামও পাওয়া যাচ্ছে বলে খবর। আর কারা এই কাণ্ডে জড়িত তা নিয়েও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছে ইডি।
কয়লা কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত অনুপ মাজিকে হন্যে হয়ে খুঁজছে সিবিআই। আয়কর দফতর কয়লা পাচার-কাণ্ডে তদন্তে শুরু করার পর লালার নাম উঠে আসে। তার বিরুদ্ধে জিএসটি ফাঁকি দিয়ে বেআইনি ভাবে টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ ওঠে। সল্টলেকে লালার বাড়িতে ম্যারাথন তল্লাশি চালান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কর্তারা। আর্থিক তছরুপের নথিপত্রও পাওয়া যায়। শেক্সপিয়র সরণির তাঁর আরও একটি ফ্ল্যাট সিল করে নোটিস সেঁটে দেয় সিবিআই। লালার সিআইটি রোডের একটি অফিসেও তল্লাশি চালানো হয়।