মানিক ভট্টাচার্যের বাড়ি থেকে অভিযোগপত্র পেয়েছে ইডি। —ফাইল ছবি
মোটা টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ জানিয়ে যে চিঠি লেখা হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীকে, সেই চিঠি পাওয়া গিয়েছে মানিক ভট্টাচার্যের বাড়িতে, আদালতে এমনটাই দাবি করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিককে গ্রেফতার করার পিছনে এই চিঠি-রহস্যের ভূমিকা রয়েছে বলেও জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই চিঠি কেন এবং কী ভাবে গেল মানিকের বাড়িতে, তা নিয়েও আদালতে প্রশ্ন তুলেছেন ইডির আইনজীবী। ইডির অভিযোগ, একাধিক বার ডেকে জিজ্ঞাসাবাদের সময়, মানিক এ নিয়ে একাধিক রকম ব্যাখ্যা দিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে গিয়েছেন।
আদালতে ইডি জানিয়েছে, গত ২২ জুলাই মানিক ভট্টাচার্যের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে একটি চিঠি পেয়েছিলেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। চিঠিটি আরও অনেকের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকেও পাঠানো হয়েছিল। চিঠিতে অভিযোগ জানানো হয়, ৪৪ জন চাকরিপ্রার্থীর প্রত্যেকের কাছ থেকে ৭ লক্ষ টাকা নিয়ে চাকরি বিক্রি করা হয়েছে। সব মিলিয়ে টাকার মোট হিসাব দাঁড়ায় ৩ কোটি ৮ লক্ষ।
রাজ্যে যুব তৃণমূল কংগ্রেসের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে ওই টাকা সংগ্রহ করেছেন বলেও অভিযোগ করা হয়েছিল ওই চিঠিতে, এমনই দাবি ইডির। ইডি আদালতে জানায়, এই চিঠির বিষয়ে ২৭ জুলাই মানিক ভট্টাচার্যকে প্রশ্ন করা হয়েছিল। তার পর ১০ অক্টোবর সোমবার রাতে ফের তাঁকে ওই চিঠি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। ইডির অভিযোগ, দু’বার দু’রকম উত্তর দিয়েছেন মানিক। তাঁর উত্তরে সঙ্গতি ছিল না। ইডির অভিযোগ, সহযোগিতা করা দূরের কথা, মানিক তদন্তকে বিপথে চালিত করার চেষ্টা করে চলেছেন।
প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় সোমবার রাতভর জেরা করা হয় মানিককে। মঙ্গলবার সকালে তাঁকে গ্রেফতার করেছে ইডি।