হাড়কাঁপানো ঠান্ডায় রাস্তায় নেমে লরি ও গাড়িচালকদের চা-বিস্কুট, জল খাওয়ালেন ধূপগুড়ির পুলিশকর্মীরা। —নিজস্ব চিত্র।
রাতের বেলা গাড়ি চালাতে গিয়ে পথদুর্ঘটনা এড়াতে অভিনব উদ্যোগ ধূপগুড়ি পুলিশের। হাড়কাঁপানো ঠান্ডায় রাস্তায় নেমে লরি ও গাড়িচালকদের চা-বিস্কুট, জল খাওয়ালেন তাঁরা। যাতে গাড়ি চালানোর সময় ঘুমের রেশ কাটিয়ে উঠে দুর্ঘটনা এড়াতে পারেন চালকেরা।
কনকনে শীতের রাতে ঘুমে চোখ জড়িয়ে যাওয়ায় দুর্ঘটনার কবলে প়ড়েন বহু দূরপাল্লার লরিচালক। অনেক গাড়িচালক আবার গাড়ি চালানোর সময় ঘুমিয়েও পড়েন। ফলে তাঁদেরও দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। শনিবার গভীর রাত থেকে ধূপগুড়ি শহরের বিভিন্ন রাস্তার ট্র্যাফিক মোড়ে গাড়িচালক এবং দূরপাল্লার লরিচালকদের দাঁড় করিয়ে চা-বিস্কুট ও জল খাওয়ান পুলিশকর্মীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, কনকনে শীতের রাতে গাড়ি চালানোর সময় ঘুমিয়ে পড়ে চালকেরা যাতে দুর্ঘটনার কবলে না পড়েন, সে জন্যই এ হেন উদ্যোগ ট্রাফিক পুলিশের।
শীতের মরসুমে কুয়াশার ঘনত্ব বেশি থাকায় দৃশ্যমানতা কমে যায়। রাতের রাস্তায় সামান্য দূরত্বেও কোনও কিছু স্পষ্ট ভাবে দেখা যায় না। সে কারণেও দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। চা-জল খাওয়ানোর পাশাপাশি লরি ও গাড়িচালকদের সচেতন করেছেন পুলিশকর্মীরা। যাতে গাড়ি চালানোর সময় সিট বেল্ট লাগানোর পাশাপাশি গাড়ির গতি কম রাখেন তাঁরা।
শনিবার রাতভর শহরের বিভিন্ন নাকা চেকিংয়ে পুলিশকর্মীদের এ হেন ভূমিকায় দেখে যারপরনাই খুশি গাড়িচালক থেকে সাধারণ মানুষ। ধূপগুড়ি ট্রাফিক পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘ধূপগুড়ি থানার ট্রাফিক পুলিশ গার্ডের তরফে এই উদ্যোগ। গোটা শীতের মরসুমে রাস্তায় নেমে গাড়িচালকদের চা-জল খাওয়ানো চলবে। কারণ শীতের সময় রাস্তায় কুয়াশার ঘনত্ব বেশি হওয়ায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। অনেক সময় লরি বা গাড়ির চালক ঘুমিয়ে পড়েন। তাই এই উদ্যোগ।’’