উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গ মিলিয়ে মোট ১১টি জেলায় সকালের দিকে কুয়াশার সতর্কতা জারি করা হয়েছে। —ফাইল চিত্র।
দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হচ্ছে শনিবারই। তা ঘনীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপেও পরিণত হতে পারে। তবে নিম্নচাপের প্রভাব পড়বে না পশ্চিমবঙ্গে। তেমনটাই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। ওই নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হবে কি না, এখনও স্পষ্ট নয়। সাগরের পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছে হাওয়া অফিস।
বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার পর তার অভিমুখ থাকবে শ্রীলঙ্কা এবং তামিলনাড়ুর উপকূলের দিকে। এর ফলে তামিলনাড়ুতে বৃষ্টি হতে পারে। আগামী কয়েক দিন আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের পর্যটকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে আলিপুর। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং দক্ষিণ আন্দামান সাগরে মৎস্যজীবীদের জন্যেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে আপাতত তাপমাত্রার হেরফের হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আগামী পাঁচ দিন তাপমাত্রা একই থাকবে। তবে উত্তর এবং দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় কুয়াশার সতর্কতা জারি করা হয়েছে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস বলছে, বাংলার জেলাগুলিতে আপাতত শুকনো আবহাওয়া থাকবে। কোথাও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমানে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকবে শনিবার। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনাতেও কুয়াশার সতর্কতা জারি করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুরে শনিবার হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশার সতর্কতা রয়েছে। পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এই সতর্কতা থাকবে মালদহতেও। সকালের দিকে কুয়াশার কারণে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছেন আবহবিদেরা।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, কেরল ও পূর্ব বাংলাদেশে দু’টি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। উত্তর-পশ্চিম ভারতে রয়েছে ‘জেট স্ট্রিম উইন্ডস্’। এর ফলে উত্তর-পশ্চিম ভারত থেকে নতুন করে পশ্চিমি ঝঞ্ঝা আসছে। বাংলায় তার প্রভাব পড়বে কি না, এখনও স্পষ্ট নয়।
কলকাতায় শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে যা ০.৫ ডিগ্রি বেশি। শুক্রবার শহরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে ১.৪ ডিগ্রি কম। আগামী কয়েক দিন ১৮ থেকে ১৯ ডিগ্রির আশপাশেই থাকবে কলকাতার তাপমাত্রা, জানিয়েছে আলিপুর। সকালের দিকে কুয়াশা থাকলেও বেলা বাড়লে আবহাওয়া মনোরম হবে।