মহারাষ্ট্র এবং ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা নির্বাচনের গণনা চলছে, গোনা হচ্ছে ১৫ রাজ্যে উপনির্বাচনের ভোটও। —ফাইল চিত্র।
মহারাষ্ট্রের ২৮৮ আসনের মধ্যে বিজেপি জয় পেল ১৩২ আসনে। এনডিএ-র বাকি শরিক দল শিবসেনা (একনাথ শিন্ডে গোষ্ঠী) এবং এনসিপি (অজিত পওয়ার গোষ্ঠী) পেয়েছে যথাক্রমে ৫৭ এবং ৪১ আসন। বাকি দুই শরিক আঞ্চলিক দল জিতেছে তিনটি আসন। মরাঠাভূমে ‘মহাজুটি’ জোট জয় পেয়েছে ২৩৩ আসনে। তবে বিরোধী জোট ‘মহাবিকাশ আঘাড়ী’র দখলে মাত্র ৪৯টি আসন।
কংগ্রেসকে আক্রমণ করতে গিয়ে মোদী বলেন, ‘‘মহারাষ্ট্রে কংগ্রেস নিজে ডুবেছে শরিকদের ডুবিয়েছে।’’ একই সঙ্গে পরিবারতন্ত্র নিয়েও তোপ দেগেছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘এক পরিবারেরই কংগ্রেস চালানোর অধিকার আছে।’’
মহারাষ্ট্রে বিজেপি নেতৃত্ব ‘মহাজুটি’র জয়ের পর বিরোধীদের একযোগে আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দিল্লির সদর দফতর থেকে তিনি বলেন, ‘‘মহারাষ্ট্রে নেতিবাচক রাজনীতির হার হয়েছে।’’
হারের নেপথ্যে ‘যড়যন্ত্র’ দেখছেন মহা বিকাশ আঘাড়ীর নেতারা। সঞ্জয় রাউত বলেছেন, ‘‘এই ফলাফলকে আমরা জনতার রায় বলে মানি না। কিছু একটা গোলমাল হয়েছে। এ রাজ্যের মানুষ তো অসৎ নয়। এই ফল কী করে সম্ভব? বিজেপির লাডলা ভাই গৌতম আদানি। ওঁর সাহায্য়েই ওরা জিতেছে। বড় যড়যন্ত্র হয়েছে।’’
ঝাড়খণ্ডে ১৮টি আসনে জয়ী ঘোষিত জেএমএম নেতৃত্বাধীন জোটের প্রার্থীরা। তাঁরা এগিয়ে আছেন ৩৯টি আসনে। এনডিএ ঝাড়খণ্ডে ১৮টি আসনে এগিয়ে আছে। জিতে গিয়েছে পাঁচটি আসনে।
মহারাষ্ট্রে ১০৬টি আসনে জয়ী বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ। ১২২টিতে এগিয়ে রয়েছে তারা। কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ‘ইন্ডিয়া’ ১৬টি আসনে জয়ী। তারা ৩৭টি আসনে এগিয়ে।
জীবনের প্রথম ভোট লড়তে নেমে চার লক্ষের ব্যবধান টপকালেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। ওয়েনাড়ের উপনির্বাচনে বিপুল ব্যবধানে জয় পেতে চলেছেন তিনি।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের পুত্র আদিত্য ঠাকরে মহারাষ্ট্রের ওরলি কেন্দ্র থেকে লড়ছেন। তিনি চার হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে আছেন। ওই কেন্দ্রে পিছিয়ে শিবসেনা (শিন্ডে) প্রার্থী মিলিন্দ দেওরা।
ওয়েনাড়ে সাড়ে তিন লক্ষের বেশি ভোটে এগিয়ে প্রিয়ঙ্কা। তাঁর ব্যবধান ৩ লক্ষ ৬২ হাজার।
ঝাড়খণ্ডের মসনদে ফিরতে চলেছেন হেমন্ত সোরেনই। ক্ষমতাসীন জেএমএমের নেতৃত্বাধীন ‘মহাগঠবন্ধন’ (জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডি-সিপিআইএমএল) সেখানে ৫১টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। জেএমএম একাই এগিয়ে ২৮টি আসনে।
মহারাষ্ট্রে ক্ষমতায় ফিরতে চলেছে শিন্ডেসেনা-বিজেপি-এনসিপি (অজিত)-র ‘মহাজুটি’। ২৮৮টির মধ্যে ২২১টি আসনে তারা এগিয়ে রয়েছে। জিতে গিয়েছে দু’টি আসনে। শরদ পওয়ার, উদ্ধব ঠাকরেদের দল সে ভাবে দাগ কাটতে পারল না মহারাষ্ট্রে।
তিন লাখের ব্যবধান পেরিয়ে গেলেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। ওয়েনাড়ে বিপুল ভোটে জয় পেতে চলেছেন তিনি। গণনা চলছে।
মহারাষ্ট্রের সদ্য নিহত এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকির পুত্র জ়িশান সিদ্দিকি বান্দ্রা পূর্ব কেন্দ্রে পিছিয়ে রয়েছেন। তিনি অজিত পওয়ারের এনসিপির টিকিটে লড়ছেন। ওই কেন্দ্রে দু’হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে শিবসেনা (উদ্ধব ঠাকরে গোষ্ঠী) প্রার্থী বরুণ সরদেশাই। তিনি উদ্ধবের ভাইপো। বান্দ্রা পূর্বে ২০১৯ সালে কংগ্রেসের টিকিটে জিতেছিলেন জ়িশান। পরে তিনি এনসিপিতে যোগ দেন।
‘ইন্ডিয়া’ এগিয়ে গেল ঝাড়খণ্ডে। ক্ষমতাসীন জেএনএম-কংগ্রেস-আরজেডি-সিপিআইএমএল (লিবারেশন)-এর ‘মহাগঠবন্ধন’ ৫০টির বেশি আসনে এগিয়ে রয়েছে। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ৪১টি আসন।
ওয়েনাড়ে এক লক্ষ ভোটের ব্যবধান পেরিয়ে গেলেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। মাস ছয়েক আগে এই কেন্দ্রে লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। তিনি উত্তরপ্রদেশের রায়বরেলীতেও জয়লাভ করেছিলেন। রায়বরেলী রেখে ওয়েনাড় বোন প্রিয়ঙ্কাকে ছেড়ে দেন তিনি। সেখানেই উপনির্বাচনে লাখের ব্যবধান পেরিয়ে গেলেন প্রিয়ঙ্কা। ভোটের লড়াইয়ে এটি তাঁর অভিষেক। আগে কখনও তিনি কোনও নির্বাচনে প্রার্থী হননি।
মহারাষ্ট্রে বিজেপির ‘মহাজুটি’ অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে। পেরিয়ে গিয়েছে জাদুসংখ্যাও। ২৮৮টি আসনের মধ্যে ২০০-র বেশি আসনে এগিয়ে রয়েছে তারা। ‘ইন্ডিয়া’ এগিয়ে প্রায় ৭০টি আসনে।
ওয়েনাড়ের উপনির্বাচনে বড় ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। বিজেপির নব্যা হরিদাসকে ৬০ হাজারের বেশি ভোটে পিছনে ফেলে দিয়েছেন তিনি।
মহারাষ্ট্রের অনুশক্তিনগর কেন্দ্রে এগিয়ে গিয়েছেন এনসিপি (শরদ গোষ্ঠী) নেতা তথা অভিনেত্রী স্বরা ভাস্করের স্বামী ফাহাদ আহমেদ। অজিত গোষ্ঠীর প্রার্থী সানা মালিককে পিছনে ফেলে দিয়েছেন তিনি।
ঝাড়খণ্ডে শুরুতে এনডিএ এগিয়ে থাকলেও গণনা যত এগোচ্ছে, লড়াই হচ্ছে হাড্ডাহাড্ডি। ‘ইন্ডিয়া’ এবং এনডিএ-র মধ্যে ব্যবধান কমছে।