West Bengal Legislative Assembly

Bhabanipur bypoll: মমতা-সহ তিন বিধায়কের শপথগ্রহণ কবে, জানা যেতে পারে সোমবার

এ বার উপনির্বাচনের আগেই দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা ও রাজভবনের মধ্যে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২১ ১৯:১৫
Share:

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শপথগ্রহণ নিয়ে টানাপড়েন রাজ্যপাল-স্পিকারের। নিজস্ব চিত্র।

ভবানীপুর, শমসেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুর উপনির্বাচন জিতে নিয়েছে তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তিন বিধায়কের শপথগ্রহণ কবে হবে তা জানা যেতে পারে সোমবার। সাধারণত উপনির্বাচনে জয়ী বিধায়কদের শপথবাক্য পাঠ করান স্পিকার। কিন্তু এ বার উপনির্বাচনের আগেই দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা ও রাজভবনের মধ্যে। তাই এখনও শপথের দিনক্ষণ ঠিক করা যায়নি। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান নিয়ে ফের টানাপড়েন তৈরি হতে পারে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ও পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের মধ্যে।

বিধানসভা সূত্রে খবর, গত সপ্তাহেই সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ নতুন বিধায়কদের শপথগ্রহণের প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছিল। তবে সেই সূচিতে সচিবালয় চূড়ান্ত অনুমোদন না দেওয়ায় প্রস্তুতি থমকে গিয়েছে। কারণ, সম্প্রতি রাজভবন থেকে একটি বার্তা এসেছিল বিধানসভার সচিবালয়ে। সেই বার্তায় বলা হয়েছিল, এরপর থেকে নির্বাচিত বিধায়কদের শপথগ্রহণ করাবেন রাজ্যপাল। লোকসভা বা বিধানসভার সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হলে প্রোটেম স্পিকার সাংসদ-বিধায়কদের শপথবাক্য পাঠ করান। কিন্তু সাংবিধানিক ভাবে লোকসভার ক্ষেত্রে সাংসদদের শপথগ্রহণ করানোর দায়িত্ব দেশের রাষ্ট্রপতির। রাজ্য বিধানসভার ক্ষেত্রে সেই দায়িত্ব পান রাজ্যের রাজ্যপাল। কিন্তু, প্রায় সব ক্ষেত্রেই সাংসদ বিধায়কদের শপথগ্রহণের দায়িত্ব রাষ্ট্রপতি বা রাজ্যপাল দিয়ে দেন তাঁর মনোনীত ব্যক্তিকে। সাধারণ নির্বাচনের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি বা রাজ্যপাল সেই দায়িত্ব দেন প্রোটেম স্পিকারদের। আর উপনির্বাচনে জয়ী হলে লোকসভার ক্ষেত্রে সেই দায়িত্ব দেওয়া হয় স্পিকারকে। বিধানসভার ক্ষেত্রে রাজ্যপাল সেই দায়িত্ব দেন সংশ্লিষ্ট বিধানসভার স্পিকারকে। রাজভবন সূত্রে খবর, রাজ্যপালের দেওয়া সেই ক্ষমতা এবার প্রত্যাহার করে নেওয়া হতে পারে। তাই বিধানসভা সচিবালয় চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিতে পারেনি। আবার রাজভবনেও শপথগ্রহণের কোনও কর্মসূচি চূড়ান্ত হয়নি বলেই সূত্রের খবর।



রাজভবন থেকে বিধানসভায় পাঠানো বার্তায় জানানো হয়েছে, সংবিধানের ১৮৮ ধারা অনুযায়ী শপথগ্রহণ নিয়ে রাজ্যপাল এতদিন যে অধিকার স্পিকারকে দিয়েছিলেন, তা ফিরিয়ে নেওয়া হবে। ঘটনাচক্রে, দশকের পর দশক পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালরা এই দায়িত্ব স্পিকারকে দিয়ে রেখেছিলেন। সেই অধিকারই আইন বলে ফিরিয়ে নিতে পারেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল। এখনও এই প্রসঙ্গে কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। চলতি সপ্তাহেই মাত্র চারদিন কর্মদিবস রয়েছে বিধানসভায়। আগামী বুধবার মহালয়ার কারণে ছুটি। সোম ও মঙ্গলবার ছাড়াও বিধানসভা খোলা থাকবে বৃহস্পতি ও শুক্রবার। তারপরেই পুজোর ছুটি শুরু হয়ে যাবে। তাই সোমবার বিধানসভা-রাজভবন এ বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে মুখ্যমন্ত্রী-সহ তিন বিধায়কের শপথগ্রহণের দিনটি চূড়ান্ত করতে পারে বলেই সূত্রের খবর।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement