(বাঁ-দিক থেকে) মাসুদ রানা, শুভ্র নাগরায়, রবি মুর্মু এবং পরিতোষ বর্মণ। —নিজস্ব চিত্র।
পুলিশে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে শালবনির এক যুবকের থেকে ৩৫ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠল এক ভুয়ো পুলিশকর্তার বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ওই যুবক ছাড়া তাঁর পাঁচ বন্ধুও একই ভাবে প্রতারণার শিকার হয়েছেন। দেবাঞ্জন দেব এবং সনাতন রায়চৌধুরীর ঘটনার মধ্যেই শহরে গ্রেফতার আর এক ভুয়ো আধিকারিক।
মেদিনীপুর ছাড়া কলকাতার চাঁদনি চকের একটি হোটেলে তাঁদের ডেকে ভুয়ো নিয়োগপত্রও দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন ওই যুবক। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে মূল অভিযুক্ত মাসুদ রানা-সহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। ধৃতদের কাছ থেকে ১ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা-সহ ভুয়ো পরিচয়পত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, মাসুদ ছাড়াও রবি মুর্মু, শুভ্র নাগরায় এবং পরিতোষ বর্মণ-সহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন শালবনির বাসিন্দা সমরেশ মাহাতো। তাঁর দাবি, টাকার বিনিময়ে রাজ্য পুলিশ এবং হোমগার্ডে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখায় মাসুদ এবং তার সঙ্গীরা। মাসুদ নিজেকে ডেপুটি পুলিশ সুপার পরিচয় দিয়েছিলেন। সমরেশদের কাছ থেকে ৩৫ লক্ষ করে টাকা নিয়ে তাঁদেরকে ভুয়ো পরিচয়পত্র ছাড়া খাকি টুপি এবং বেল্টও দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। এই অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা।