গরু পাচার মামলায় নতুন মোড়। দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। বুধবারই এই মামলার শুনানি হতে পারে।
সোমবার গরু পাচার মামলায় বীরভূমের তৃণমূল সভাপতিকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরার অনুমতি পেয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সেই মতো তাঁকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতিও শুরু হয়। তবে মঙ্গলবার অন্য একটি মামলায় রাজ্য পুলিশ অনুব্রতকে অভিযুক্ত করে দুবরাজপুর আদালতে তোলে। সেই মামলায় তাঁর ৭ দিনের পুলিশি হেফাজত হয়েছে। এর মধ্যে ‘দিল্লিযাত্রা’ ঠেকাতে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন বীরভূমের কেষ্ট।
গরু পাচার মামলায় প্রায় ৫ মাস ডজেলে রয়েছেন কেষ্ট। তদন্তের প্রয়োজনে তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আদালতের কাছে প্রোডাকশন ওয়ারেন্টে চেয়েছিল ইডি। সোমবার ইডির আর্জি মঞ্জুর করে আদালত জানায়, প্রয়োজনে অনুব্রতকে রাজধানীতে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবেন তদন্তকারীরা।
গরু পাচার মামলায় অনুব্রতকে দীর্ঘ দিন ধরেই দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জেরা করার আর্জি জানাচ্ছিল ইডি। এই সংক্রান্ত মামলায় অনুব্রতের প্রাক্তন দেহরক্ষী সহগল হোসেনকে দিল্লি নিয়ে গিয়েছে ইডি। আপাতত সহগল, গরু পাচারে মূল অভিযুক্ত এনামুল হক, বিএসএফ কম্যান্ড্যান্ট সতীশ কুমার প্রমুখ দিল্লির তিহাড় জেলে বন্দি রয়েছেন। সোমবারের রায়ের পর অনুমান করা হয়েছিল অনুব্রতকেও তিহাড়েই রেখে জেরা করা হবে। তবে তৃণমূল নেতারে যাতে কোনও ভাবেই দিল্লিতে না নিয়ে যাওয়া হয়, সে ব্যাপারে চেষ্টা করেছেন অনুব্রতের আইনজীবী কপিল সিব্বল। তবে ইডির বিরুদ্ধে সিব্বলের সেই সমস্ত যুক্তি যে ধোপে টেকেনি।
প্রসঙ্গত, অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে আসার বিরোধিতা করে সিব্বল বলেছিলেন, অভিযুক্ত তৃণমূল বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগই দায়ের করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। তাই তাঁর মামলা শুনানি দিল্লির আদালতে চলতে পারে না। পাল্টা ইডির যুক্তি ছিল, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা যেখানে তদন্তকারী, সেখানে এই নিয়ম খাটে না।গরু পাচারকাণ্ডে অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যেতে চেয়ে ইডির আবেদনকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাই কোর্টে আবেদন করেছিলেন তৃণমূল নেতা। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে মামলাটি রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে ফেরত পাঠায় দিল্লি হাইকোর্ট। দিল্লি হাই কোর্টের নির্দেশ ছিল, অনুব্রতের মামলার বিষয়ে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেবে রাউস অ্যাভেনিউ আদালত। এ বার সেই আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে মামলা করেন তিনি।