Christmas Release 2024

এক দল চান, বাকি ছবি নিপাত যাক! তাঁদের প্রিয় অভিনেতার ছবি থাক, এটা অন্যায়: ঋত্বিক

“এক বারও ‘খাদান’-এর নাম উল্লেখ করেছি? কেনই বা করব? তার পরেও লোকে ধরে নিচ্ছে আমি নাকি দেবের বিরোধিতা করছি”, অনুযোগ অভিনেতার।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৭:১৫
Share:

ঋত্বিক চক্রবর্তীর কোপে দেব? ছবি: ফেসবুক।

ঋত্বিক চক্রবর্তীর উপরে নাকি বেজায় খেপেছেন দেব অনুরাগীরা। সদ্য তাঁর ছবি ‘সন্তান’ মুক্তি পেয়েছে। এ ছবিতে তিনি মিঠুন চক্রবর্তীর ‘দুষ্টু ছেলে’। দেবের অনুরাগীদের দাবি, পর্দার বাইরেও নাকি সেই ‘দুষ্টুমি’ বজায় রেখেছেন ঋত্বিক। উদাহরণ, তাঁর সাম্প্রতিক পোস্ট। একাধিক বার সংশোধন করে যেখানে তিনি সিনে সমালোচকদের কটাক্ষ করে লিখেছেন, ‘শিরায় শিরায় রক্ত মাথায় কিন্তু গত্ত’। এতেই আগুনে ঘি পড়েছে। কারণ, দেবের অনুরাগীরা তাঁদের প্রিয় অভিনেতাকে দেখলেই ধ্বনি দেন, ‘শিরায় শিরায় গরম রক্ত, আমরা দেবদার চরম ভক্ত।’

Advertisement

অভিনেতার এই পোস্ট সকালের চা হয়ে বিকেলের কফির কাপেও সমান প্রাসঙ্গিক। তুমুল চর্চা চলছে ঋত্বিকের বক্তব্য নিয়ে। নেটাগরিকেরা একযোগে দাবি করছেন, তাঁর মতো শিক্ষিত অভিনেতার থেকে এই ধরনের মন্তব্য আশা করেননি কেউ। টলিপাড়া আবার দেব-রাজ চক্রবর্তীর বড়দিনের ছবি ‘খাদান’ আর ‘সন্তান’ নিয়ে চাপানউতরের ছায়াও দেখতে পেয়েছে। যদিও রাজ একাধিক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, দেবের ছবির প্রেক্ষাগৃহ পাওয়া নিয়ে তাঁর কোনও অনুযোগ নেই।

আদতে ঋত্বিক তা হলে কী বলতে চেয়েছেন? তিনি কি দেব বা দেবের ছবি নিয়ে বক্তব্য রাখতে চেয়েছিলেন আদৌ?

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল অভিনেতার সঙ্গে। রাজের ছবির ‘বাবুই’ তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়েছেন। বলেছেন, “আমার পোস্টটায় অনেকে ‘খাদান’-এর নিন্দা, দেবের নিন্দা, আমার অসীম হিংসা— এই সব দেখতে পাচ্ছেন। তাতে একটু কল্পনাও রয়েছে। ভাল করে পড়লে দেখা যাবে, না জেনে সিনেমার ব্যবসা, কমার্স নিয়ে মন্তব্য করা নেটাগরিক বা কটাক্ষকারীদের ব্যঙ্গ করে এই পোস্ট করা হয়েছিল। আর চারটে ছবির মধ্যে পছন্দের ছবি দেখার আবেদনও ছিল। অবশ্য এই অপব্যাখ্যা করাটাই এই সময়ের সমাজমাধ্যমের একটা বাস্তবতা।”

উল্লেখ্য, ঋত্বিক তাঁর পোস্টে লিখেছেন, “চা দোকানের লোকটাকে এখনই বলতে শুনলাম, ‘সোশ্যাল ডিলেমায় দেখিয়েছিল, কিছু ছিঁচকে কিস্যু না বুঝে সিনেমা-বাণিজ্য-কমার্স নিয়ে নিজেদের গ্যাদগ্যাদে জ্ঞান বিলিয়ে দেবে অকাতরে। আর কত সহজেই প্রমাণ করবে, ‘শিরায় শিরায় রক্ত মাথায় কিন্তু গত্ত!’ আমিও ট্রেন্ড অনুযায়ী না বুঝেই শেয়ার করলাম কথাটা।” শেষে লিখেছেন, “এ দিকে চারটে ভিন্ন স্বাদের জমজমাট বাংলা ছবি চলছে। আপনার পছন্দ মতো হলে গিয়ে দেখুন।”

এটা অভিনেতার বক্তব্য।

কিন্তু এত সহজে মানুষকে ভোলানো যায়? তার উপরে নিজের লেখা অন্তত বার পাঁচেক সংশোধন করেছেন ঋত্বিক। পরে সংযুক্ত করা হয়েছে চারটি ছবি দেখার আবেদন অংশটি। ‘সর্ববোদ্ধা’ নেটাগরিকেরা প্রযুক্তির খুঁটিনাটি হাতের তালুতে এনে বিঁধেছেন অভিনেতাকে। ঋত্বিকের বার বার সংশোধন করার ছবি তুলে ভাগ করে নিয়ে কটাক্ষ করেছেন কোনও কোনও নেটাগরিক। কেউ এক ধাপ এগিয়ে পাল্টা লিখেছেন, “দাদা আপনার কষ্টটা কেউ বুঝবে না। আমি বুঝি এই কষ্টটা। মন ভাল করার জন্য একটা ছবি দেখতে পারেন...... ‘খাদান’! আপনার মন ভাল হয়ে যাবে।”

ঋত্বিক বিষয়টি অস্বীকার করেননি। তিনিও তাঁর মন্তব্যবাক্সে লেখা চোখা বক্তব্য পড়েছেন। বলেছেন, “এক ধরনের মানুষ ‘বাকিগুলো নিপাত যাক’ বলে প্রচার চালাচ্ছে। তার মধ্যে আমার ছবিও রয়েছে। এদের দেখে মনে হচ্ছে, এরা জঙ্গি দর্শক! যারা সারা ক্ষণ ‘বনাম’-এ যাচ্ছে, অন্যের ছবি ধ্বংস হোক চাইছে।” ঋত্বিক স্পষ্ট জানিয়েছেন, এই শ্রেণির দর্শককে নিয়েই তাঁর আপত্তি। এদের বিরুদ্ধে যাবতীয় কথা বলা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement