—ফাইল চিত্র।
হাতের শিরা, গলার নলি কেটে বাবা, মা এবং বোনকে নৃশংস ভাবে খুন করেছিলেন যুবক। বছর তিনেক আগে হুগলির ধনেখালির সেই ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হওয়া সেই যুবক প্রমথেশ ঘোষালকে ফাঁসির সাজা শোনালো চুঁচুড়া আদালত। সোমবার চুঁচুড়া আদালতের বিচারক সঞ্জয় কুমার শর্মা এই রায় দিয়েছেন।
আদালত সূত্রে খবর, ২০২১ সালের ৮ নভেম্বর ধনেখালি থানার দশঘরা গ্রামের পালপাড়ায় ঘটনাটি ঘটেছিল। বাবা অসীম ঘোষাল (৬৮), মা শুভ্রা ঘোষাল(৬০) এবং বোন পল্লবী চট্টোপাধ্যায় (৩৮)-কে খুনের অভিযোগ উঠেছিল প্রমথেশের বিরুদ্ধে। বাবা, মা ও বোনকে খুনের পর প্রমথেশ নিজেও হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। পুলিশই তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ভর্তি করেছিল। দ্রুত চিকিৎসা হওয়ার ফলে তিনি বেঁচে গিয়েছিলেন। এর পর পল্লবীর স্বামী পার্থ চট্টোপাধ্যায় থানায় খুনের মামলা দায়ের করলে পুলিশ প্রমথেশকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
সরকারি আইনজীবী শঙ্কর গঙ্গ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এই মামলায় মোট ১৪ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। মামলা চলাকালীন জেলেই ছিলেন অভিযুক্ত। খুনের ভয়াবহতা বিচার করে বিচারক মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। তবে ঘটনায় পুলিশও সঠিক সময়ে চার্জশিট জমা দিয়েছিল।’’ হুগলির পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) কামনাশিস সেন বলেন, ‘‘আদালত ও বিচার ব্যবস্থার উপর সকলকে আস্থা রাখতে হবে। তাই অপরাধ যত বড়ই হোক না কেন, শাস্তি হবেই।’’
প্রমথেশ পেশায় গৃহশিক্ষক ছিলেন। সাজা ঘোষণার হওয়ার পর এজলাসে দাঁড়িয়ে বিচারকের কাছে মুক্তির আবেদন করেছিলেন তিনি। কিন্তু বিচারক তাঁর আবেদন নাকচ করে দেন।