শাহজাহান শেখকে নিয়ে বসিরহাটের আদালতে পৌঁছল সিবিআই। — নিজস্ব চিত্র।
সন্দেশখালির শাহজাহান শেখকে চার দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চেয়েছে সিবিআই। আদালত রায় স্থগিত রেখেছে।
রবিবার শাহজাহানকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে হাজির করানো হয়। আদালতে পৌঁছে গাড়ি থেকে নামার সময়ে কোনও কথা বলেননি শাহজাহান। শুনানি শেষে তাঁর আইনজীবী জানান, শাহজাহানকে আরও জেরা করে তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করা প্রয়োজন— এই মর্মে তাঁর হেফাজতের আবেদন জানিয়েছিল সিবিআই। আদালত এখনও পর্যন্ত রায় দেয়নি।
গত ২৯ ফেব্রুয়ারি শাহজাহানকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশ। বসিরহাট আদালত তাঁকে ১০ দিনের হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল। সিআইডি-র হেফাজতে ছিলেন তিনি। পরে কলকাতা হাই কোর্ট শাহজাহানকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে বলে। সন্দেশখালিকাণ্ডের তদন্তের ভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। হিসাব মতো, তিন দিন শাহজাহানকে হেফাজতে পেয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।
শাহজাহানকে হেফাজতে পাওয়ার পরেই সন্দেশখালিকাণ্ডের তদন্তে তৎপর হয়েছে সিবিআই। পর পর দু’দিন তারা সন্দেশখালিতে গিয়েছে। তার মধ্যে দ্বিতীয় দিন শাহজাহানের বাড়ি, বাজার, অফিসে তল্লাশিও চালানো হয়েছে। ইডির উপর হামলার ঘটনার পুনর্নিমাণ হয়েছে শাহজাহানের বাড়ির সামনে। বিশাল কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে সিবিআই সন্দেশখালির সরবেড়িয়া এলাকা কার্যত চষে ফেলেছে। এমনকি, ডুগরিপাড়া গ্রামে শাহজাহান-ঘনিষ্ঠ দু’জনের বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়েছে।
সমান্তরাল ভাবে নিজামে শাহজাহানকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। ইডি আধিকারিকদের সেখানে আসাযাওয়া করতে দেখা গিয়েছে। গোটা ঘটনার তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করার কাজ চলছে। সন্দেশখালিতে সিবিআইয়ের সঙ্গেও ইডি আধিকারিকেরা ছিলেন। ছিল ফরেন্সিক দলও।
রবিবার কলকাতায় তৃণমূলের ডাকে ব্রিগেড সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সেই ‘জনগর্জন সভা’য় আসার জন্য সকাল থেকেই জেলার জনস্রোত কলকাতামুখী। সিবিআইয়ের কনভয় যখন শাহজাহানকে নিয়ে বসিরহাটের পথে, সেই সময়েও উল্টো দিক থেকে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের গাড়ি কলকাতার দিকে যেতে দেখা গিয়েছে। এমনকি, সেই গাড়ির কারণে মাঝেমধ্যে থমকেও গিয়েছে শাহজাহানের কনভয়।