সংক্রমণের দৈনিক হার নিম্নমুখী হয়েছে। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
রাজ্য জুড়ে করোনায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা আরও কমল। সংক্রমণের দৈনিক হারও নিম্নমুখী হয়েছে। যদিও গত ২৪ ঘণ্টায় এক জন কোভিড রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৭৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সোমবারের বুলেটিনে এই সংখ্যাটি ছিল ২৭০। সব মিলিয়ে এ রাজ্যে ২১,০২,৯৩২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। যদিও তার মধ্যে ২০,৭৬,৬৬৭ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। ফলে এই মুহূর্তে আক্রান্তের সংখ্যা ৪,৮৪২। তাঁদের মধ্যে ৪,৬৪৮ জন গৃহ নিভৃতবাসে রয়েছেন। বাকি ১৯৪ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
চলন্ত গড় কী, এবং কেন এটি ব্যবহার করা হয়, তা লেখার শেষে উল্লেখ করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, আগের দিনের থেকে ‘পজিটিভিটি রেট’ সংক্রমণের দৈনিক হার নিম্নমুখী হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় তা দাঁড়িয়েছে ৩.৪৮ শতাংশে। প্রসঙ্গত, প্রতি দিন যে সংখ্যক কোভিড টেস্ট করা হয়, তার মধ্যে যত শতাংশের রিপোর্ট পজিটিভ আসে, তাকেই ‘পজিটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের হার বলা হয়। স্বাস্থ্য দফতরের হিসাব অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫,০৩৪টি কোভিড পরীক্ষা করানো হয়েছে। তার মধ্যে ১৭৫টি রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৭,২০৮ জনের টিকাকরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। এ ছাড়া, সব মিলিয়ে রাজ্যে ৭২,৯১৭,২২২ জন টিকা নিয়েছেন।
(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৪ জুনের তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ১৬০। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ১৩৫। তার আগের দু’দিন ছিল ১২৩ এবং ১৪৮। পরের দু’দিনের সংখ্যা ছিল ১৯৪ এবং ২২৯। ১২ থেকে ১৬ জুন, এই পাঁচ দিনের গড় হল ১৬০, যা ১৪ জুনের চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৫ জুনের চলন্ত গড় হল ১৩ থেকে ১৭ জুনের আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)