গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
সামান্য কমল রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। যদিও টেস্ট কম হয়েছে। সংক্রমণের হার নেমেছে মাত্র দশমিক এক শতাংশ। তবে সুস্থতার হার টানা ঊর্ধ্বমুখী। মোটের উপর সংক্রমণেরে এই প্রবণতা একনও স্বস্তি দেওয়ার মতো নয় বলেই বিশ্লেষণ বিশেষজ্ঞদের।
রবিবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৯২০ জন। শনিবার এই সংখ্যা ছিল ৮ জন বেশি অর্থাৎ ৩ হাজার ৯২৮। এই নিয়ে রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৪ লক্ষ ৫ হাজার ৩১৪। ২৪ ঘণ্টায় নতুন সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি কলকাতায়— ৮১৩ জন। দ্বিতীয় স্থানে থাকা উত্তর ২৪ পরগনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭৯৬ জন।
মৃতের সংখ্যাতেও শীর্ষে কলকাতা। এ দিনের বুলেটিন অনুযায়ী মহানগরে মৃত্যু হয়েছে ১৬ জনের। উত্তর ২৪ পরগনায় ১১ জন, হাওড়ায় ১০ জন, নদিয়ায় ৭ জন-সহ সব জেলা মিলিয়ে ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে মোট মৃত্যু হয়েছে ৫৯ জনের। এই নিয়ে রাজ্যে কোভিডের বলি হলেন ৭ হাজার ২৯৪ জন।
সংক্রমণের হার পর পর দু’দিন একই থাকার পর রবিবার সামান্য কমেছে। প্রতিদিন যত সংখ্যক টেস্ট করা হয়, তার মধ্যে ১০০ জনে যত জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে, তাকেই পজিটিভিটি রেট বা সংক্রমমের হার বলা হয়। শুক্র ও শনিবার এই হার ছিল৮.৬৯ শতাংশ। রবিবার সেই হার সামান্য কমে হয়েছে ৮.৬৮ শতাংশ। রবিবারের বুলেটিন অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে কোভিড টেস্টের সংখ্যা ৪৫ হাজার ১৮৭ জনের। শনিবার এই সংখ্যা ছিল ৪৫ হাজার ২২৭।
সুস্থতার হারে ক্রমাগত ঊর্ধ্বমুখী। রবিবারের বুলেটিন অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যের সব জেলা মিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ৩৮৩ জন। এই নিয়ে রাজ্যে মোট সুস্থ হলেন ৩ লক্ষ ৬৩ হাজার ৪৫৪ জন কোভিড আক্রান্ত রোগী। এই মুহূর্তে রাজ্যে সক্রিয় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩৪ হাজার ৫৬৬।
কলকাতা ও উত্তর ২৪ চব্বিশ পরগনা বাদে গত ২৪ ঘণ্টায় দুই শতাধিক মানুষ নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন এমন জেলাগুলি হল হাওড়া (২৫৪), দক্ষিণ ২৪ পরগনা (২৪৫) এবং হুগলি ২৩৪। উল্লেখযোগ্য ভাবে এই তিন জেলাই কলকাতা লাগোয়া। পশ্চিম মেদিনীপুরে আক্রান্তের সংখ্যা ১৯৪, নদিয়ায় ১৯১, পূর্ব মেদিনীপুরে ১৩৭, দার্জিলিঙে ১২৪ এবং পশ্চিম বর্ধমানে ১১৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এই জেলাগুলি শতাধিক আক্রান্তের তালিকায়।