গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
রাজ্যে করোনা মানচিত্রে গত বেশ কয়েক দিন ধরেই দৈনিক সুস্থের সংখ্যাটা দৈনিক আক্রান্তের চেয়ে বেশি। শনিবারও সেই প্রবণতা বজায় রইল। কিন্তু উদ্বেগ বাড়ল মৃতের সংখ্যা ফের এক বার ৫০-এর গণ্ডি টপকে যাওয়ায়। তবে গত কালকের থেকে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা কমে যাওয়া, সংক্রমণের হার কমা, এবং সুস্থতার হার বৃদ্ধি পাওয়া স্বস্তি জোগাচ্ছে রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্তাদের।
দৈনিক আক্রান্তের থেকে রাজ্যে দৈনিক সুস্থের সংখ্যা এ দিনও উপরেই রইল। রবিবার রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী এ দিন সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ৪৪৫জন। তার ফলে মোট সুস্থ এখন ৪ লক্ষ ৪৮ হাজার ৩২ জন। এই মুহূর্তে রাজ্যে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২৪ হাজার ৪০৫ জন।
রাজ্যে এ দিন নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৩৬৭ জন। যার ফলে রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছল ৪ লক্ষ ৮০ হাজার ৮১৩-তে। এর মধ্যে কলকাতা (৮২৬) এবং উত্তর ২৪ পরগনা (৮১৪)-য় আক্রান্তের সংখ্যা সর্বোচ্চ। এ ছাড়া দুশোর বেশি আক্রান্তের সংখ্যা এক মাত্র দক্ষিণ ২৪ পরগনা (২৩৩), নদিয়া (২১৭) এবং হাওড়া (২১৫) জেলায়। শতাধিক আক্রান্ত হয়েছেন হুগলি (১৯০), পশ্চিম বর্ধমান (১২২) এবং পূর্ব মেদিনীপুর (১১৫) জেলায়।
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন।)
আরও পড়ুন: এখনই খুলছে না স্কুল-কলেজ, জানালেন পার্থ
আরও পড়ুন: ডুডুয়া নদী থেকে চলছে অবৈধ বালিপাচার, প্রশাসন নিষ্ক্রিয়, দাবি বাসিন্দাদের
এ দিন রাজ্যে মৃতের সংখ্যা ৫৪। এর মধ্যে কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগনায় ১৩ জন করে প্রাণ হারিয়েছেন এ দিন। এ ছাড়া দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৭ জন এবং হাওড়ায় ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এ দিন। নদিয়া ৪ জন মারা গিয়েছেন। রাজ্যে করোনার জেরে মোট ৮ হাজার ৩৭৬ জনের মৃত্যু হল।
কোভিডে মৃতের সংখ্যা কিছুটা আশঙ্কাজনক পর্যায়ে পৌঁছলেও কিছুটা হলেও আশার আলো দেখাচ্ছে দৈনিক সুস্থতার হার। স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার হার পৌঁছছে ৯৩.১৮ শতাংশে যা গত কালকের থেকে সামান্য হলেও বেশি।
রাজ্যে দৈনিক করোনা সংক্রমণের হার বা ‘পজিটিভিটি রেট’ গত কালকের থেকে কমেছে। প্রতি দিন যে সংখ্যক কোভিড টেস্ট করা হয়, তার মধ্যে যত শতাংশের রিপোর্ট পজিটিভ আসে, তাকেই ‘পজিটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের হার বলা হয়। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্য জুড়ে ৪৫ হাজার ২০৮টি টেস্ট করা হয়েছে। তার মধ্যে ৩ হাজার ৩৬৭টি টেস্ট পজিটিভ এসেছে। এর ফলে দৈনিক সংক্রমণের হার দাঁড়িয়েছে ৭.৪৫ শতাংশে। যা শনিবারের তুলনায় কিছুটা কম।