গ্রাফিক: সনৎ সিংহ
চার মাসের মধ্যে কলকাতায় কোভি়ডে আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে বেড়ে সর্বোচ্চ হল। মাত্র ২৪ ঘণ্টায় তা প্রায় আড়াইশোর কাছে পৌঁছেছে। দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া বা হুগলির মতো কলকাতা লাগোয়া জেলার পরিসংখ্যানও উদ্বেগজনক। কলকাতার মতোই রাজ্য জুড়ে নতুন সংক্রমণ হু হু করে বেড়েছে। এক দিনেই তা সাড়ে ৮০০-র বেশি হয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যায় রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৬৭ জন। প্রসঙ্গত, ২১ জুলাইয়ের পর এই প্রথম নতুন সংক্রমণ এত বেশি হয়েছে। ওই দিনের বুলেটিনে তা ছিল ৮৬৯।
গোটা রাজ্যের মধ্যে কলকাতার পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তা বাড়ছে স্বাস্থ্যকর্তাদের। দুর্গাপুজোর সময় কলকাতার রাস্তায় রাস্তায় দূরত্ববিধির তোয়াক্কা না করে মাস্কবিহীনদের ভিড় দেখে শিউ়রে উঠেছিলেন চিকিৎসকেরা। আশঙ্কা করেছিলেন, পুজোর শেষে শহরে করোনা সংক্রমণ হু হু করে বাড়বে। বুধবার এ শহরে নতুন আক্রান্তের পরিসংখ্যান বুঝিয়ে দিচ্ছে, চিকিৎসকদের সে আশঙ্কা অমূলক নয়। গত ২৪ ঘণ্টায় এ শহরে ২৪৪ জনের মধ্যে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়েছে। মঙ্গলবারের বুলেটিনে এই সংখ্যাটি ছিল ১৮৩।
কলকাতার আশপাশের জেলাগুলিতেও নতুন সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। উত্তর ২৪ পরগনায় আক্রান্ত ১২৯ জন। হুগলিতে ৯৬, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৭১, হাওড়ায় ৬৮ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। নদিয়ায় দৈনিক আক্রান্ত ৪৮। পাশাপাশি, রাজ্যের প্রায় প্রতিটি জেলায় কমবেশি সংক্রমণ ধরা পড়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। এখনও পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১৫ লক্ষ ৮২ হাজার ৮১৩ জন। তার মধ্যে ৭ হাজার ৪৯১ জন সক্রিয় রোগী। সংক্রমণের দৈনিক হারও বেড়ে হয়েছে ২.৪৩ শতাংশ।
সংক্রমণ বাড়লেও কোভিডে মৃতের সংখ্যা আগের দিনের মতো একই রয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৯ জনের মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা ৩। কলকাতা এবং নদিয়ায় ২ জন করে রোগীর মৃত্যু হয়েছে। আলিপুরদুয়ার ও পশ্চিম বর্ধমানে এক জন করে এবং নদিয়ায় ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সংক্রমণমুক্ত হয়েছেন ৭৯৫ জন। বাংলায় সক্রিয় রোগীর সংখ্যা আবার বেড়ে দাঁড়াল ৭ হাজার ৪৯১।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে টিকা পেয়েছেন ৬ লক্ষ ৬২ হাজার ৮৬৪ জন। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত মোট টিকাদান হয়েছে ৬ কোটি ৮২ লক্ষ ৩৪ হাজার ৮২১।