আফগানিস্তানের মহিলা ভলিবল খেলোয়াড় মাহজবিন হাকিমি। টুইটার থেকে নেওয়া।
আফগানিস্তানের মহিলা জুনিয়র ভলিবল খেলোয়াড়কে গলা কেটে হত্যা করল তালিবান। খবর ইরানের সংবাদ সংস্থা সূত্রে।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে দলের প্রশিক্ষক জানিয়েছেন, ওই মহিলা খেলোয়াড়ের নাম মাহজবিন হাকিমি। অক্টোবর মাসে তাঁকে খুন করে তালিবান। কিন্তু বিষয়টি জানাজানি হয়নি। কারণ তালিবান ওই মহিলা ভলিবল খেলোয়াড়ের বাড়ির লোকেদের হুমকি দিয়েছিল, ঘটনার কথা পাঁচ কান হলে কারও নিস্তার নেই।
কাবুলের পতনের আগে পর্যন্ত কাবুল মিউনিসিপ্যালিটি ভলিবল ক্লাবে খেলতেন মাহজবিন। তিনি ছিলেন ক্লাবের অন্যতম তারকা খেলোয়াড়। ক’দিন আগে সেই মাহজবিনের গলা কাটা দেহের ছবি নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
আফগানিস্তানের মহিলা ভলিবল দলের প্রশিক্ষক জানিয়েছেন, অগস্ট মাসে তালিবান কাবুলের দখল নেওয়ার পর মাত্র দু’জন খেলোয়াড় দেশ ছেড়ে পালাতে সক্ষম হয়েছিলেন। মাহজবিন হাকিমি সেই খেলোয়াড়দের মধ্যে পড়েন, যাঁরা হাজার চেষ্টা করেও দেশ ছেড়ে যেতে পারেননি।
অগস্টে ক্ষমতা দখলের পর থেকেই তালিবান তন্ন তন্ন করে মহিলা ক্রীড়াবিদদের খুঁজছে। বিশেষত তালিবানের নজর ছিল আফগানিস্তানের মহিলা ভলিবল দলের সদস্যদের দিকে। কারণ এই দলটি বিভিন্ন বিদেশি ও স্থানীয় প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে এবং সেই প্রসঙ্গে সংবাদ মাধ্যমেও তাঁদের ছবি প্রকাশিত হয়েছে আকছার।
১৯৭৮ সালে প্রথমবার তৈরি হয় আফগানিস্তানের মহিলা ভলিবল দল। তার পর থেকে নারী মুক্তির পথে আলোকবর্তীকার কাজ করেছেন মহিলা ভলিবল খেলোয়াড়েরা। কিন্তু মাহজবিনের মৃত্যু তাতে বড়সড় প্রশ্ন চিহ্ন তুলে দিল। অগস্টে আফগানিস্তানের দখল নেওয়ার পর থেকে মহিলাদের বিরুদ্ধে বার বার খড়হস্ত হতে দেখা যাচ্ছে তালিবানকে।