Firhad Hakim & Yaseer Haider

ফিরহাদের প্রাক্তন জামাই কংগ্রেসের পদে, লোকসভা ভোটের আগে দিল্লি থেকে এল ইয়াসিরের নিয়োগপত্র

ফিরহাদ হাকিমের জামাই থাকাকালীন তৃণমূলেও বড় জায়গা পেয়ে গিয়েছিলেন ইয়াসির। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূলের যুব সংগঠনে তিনি রাজ্য সম্পাদকের দায়িত্বও পেয়েছিলেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০২৪ ১৫:১৮
Share:

(বাঁ দিকে) ফিরহাদ হাকিম। ইয়াসির হায়দার (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের প্রাক্তন জামাই ইয়াসির হায়দারকে বড় দায়িত্ব দিল কংগ্রেস। রবিবার রাতে লোকসভা ভিত্তিক কংগ্রেসের কো-অর্ডিনেটরদের তালিকা প্রকাশ করা হয় এআইসিসি-র তরফ থেকে। সেই তালিকায় অনুমোদন দিয়েছেন এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক তথা রাহুল গান্ধীর ঘনিষ্ঠ নেতা কে সি বেণুগোপাল।

Advertisement

সেই তালিকায় পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি লোকসভার কো-অর্ডিনেটরদের নামও প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানেই বসিরহাট লোকসভার কো-অর্ডিনেটর হিসাবে রয়েছে ইয়াসিরের নাম। এক সময় মেয়র ফিরহাদের বড় মেয়ে প্রিয়দর্শিনীর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তাঁর। তাঁদের একটি কন্যাসন্তানও রয়েছে। কিন্তু বছর খানেক আগে ইয়াসির ও প্রিয়দর্শিনীর বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে। আর গত ২০ অগস্ট প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর হাত ধরে কলকাতা বিধান ভবনে জাতীয় কংগ্রেসের পতাকা হাতে নিয়ে দলবদল করেন ইয়াসির। আর দলে যোগদানের মাত্র ছয় মাসের মধ্যেই বড় দায়িত্বও পেয়ে গেলেন তিনি। তবে প্রাক্তন জামাতার কংগ্রেসে যোগদানকে অবশ্য পাত্তা দিতে চাননি ফিরহাদ।

ফিরহাদের জামাই থাকাকালীন তৃণমূলেও বড় জায়গা পেয়ে গিয়েছিলেন ইয়াসির। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূলের যুব সংগঠনে তিনি রাজ্য সম্পাদকের দায়িত্বও পেয়েছিলেন। কিন্তু বিবাহবিচ্ছেদের পর ধীরে ধীরে তৃণমূলের রাজনীতির সঙ্গেও দূরত্ব তৈরি হয়েছিল ইয়াসিরের। আর এ বার বসিরহাট থেকেই নিজের রাজনৈতিক জীবনের নতুন ইনিংস শুরু করতে চান তিনি। অতীতে তৃণমূলের রাজনৈতিক কাজের অভিজ্ঞতা যে তাঁর কাজে লাগবে, তা মেনে নিচ্ছেন এই যুবনেতা।

Advertisement

ইয়াসির বলেন, ‘‘আমি যে হেতু সংখ্যালঘু পরিবার থেকে এসেছি, আর বসিরহাট একটি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত লোকসভা, তাই আমার কাজের সুবিধা হবে। কারণ, রাজনৈতিক ক্ষেত্র আমার কাছে কোনও নতুন জায়গা নয়। আগের অভিজ্ঞতা যে আমার কাজে লাগবে, তা কংগ্রেসের যোগদানের পরেই বুঝেছিলাম।’’ কলকাতার মেয়রের সঙ্গে তাঁর পুরনো আত্মীয়তার সম্পর্ক যে তাঁর নতুন রাজনৈতিক ইনিংসের ক্ষেত্রে কোনও অন্তরায় হবে না, তা জোর দিয়ে বলছেন সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত এই নেতা। তাঁর কথায়, ‘‘আমি সব সময় সব বিষয়কেই আলাদা করে দেখি। সামাজিক জীবন আর রাজনৈতিক জীবন যেমন এক হয় না, তেমনই পারিবারিক এবং ব্যক্তিগত জীবনের সঙ্গেও রাজনৈতিক জীবনের কোনও যোগাযোগ নেই। এই সব বিষয় রাজনীতির ক্ষেত্রে কোনও প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে না বলেই আমি মনে করি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement