বেঙ্গালুরুতে বৈঠকের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কংগ্রেস এবং সিপিএম নেতৃত্ব। ছবি: টুইটার।
রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপির সঙ্গে যেমন তৃণমূলের সংঘাত হয়েছে, তেমন বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস কর্মীরাও নিজেদের মতো করে শাসক দলের সঙ্গে লড়াই করেছে। সেই লড়াইয়ে যাঁরা আপোসহীন মনোভাব দেখিয়েছেন, এ বার তাঁদের পৃথক মঞ্চ গড়ে লড়াইয়ের ডাক দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
পঞ্চায়েতে তৃণমূলের সঙ্গে ভোটের লড়াই করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন সিপিএম এবং কংগ্রেস কর্মীরা। অথচ ওই দুই দলের শীর্ষ নেতারা বেঙ্গালুরুতে তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপি বিরোধী বৈঠকে বসছেন। সিপিএম ও কংগ্রেস নেতাদের এমন অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। সিপিএম ও কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের তৃণমূলের প্রতি এমন দু’রকম অবস্থানের সমালোচনা করেছেন বিরোধী দলনেতা। তবে নিচুতলার কর্মীদের এ জন্য বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। শুভেন্দু বলেন, ‘‘সারা রাজ্যে বাম ও কংগ্রেস অত শক্তিশালী নয়। কিন্তু কিছু পকেটে তাদের নিচুতলার কর্মীরা পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলকে প্রতিরোধ করেছেন। এদের সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সেটিং নেই।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘বাম ও কংগ্রেসের কয়েক জন কর্মীর প্রাণও গিয়েছে। কিন্তু তার পরেও রাহুল গান্ধী, সীতারাম ইয়েচুরি তৃণমূলের সঙ্গে মিটিং করছেন। আমি ওঁদের বলব, আমাদের সঙ্গে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আসুন। যদি বিজেপির কারণে অসুবিধা হয়, তা হলে আলাদা মঞ্চ গড়ে লড়াই করুন। এই স্বৈরাচার থেকে বাংলাকে বাঁচাতে হবে।’’
প্রসঙ্গত, সোমবার দুপুরের বিমানে বিজেপি বিরোধী জোটের বৈঠকে যোগ দিতে বেঙ্গালুরু গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। সেখানেই ২৪ দলের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি আগামী লোকসভা ভোটে বিজেপির বিরুদ্ধে বিকল্প জোট গঠনের সিদ্ধান্ত নেবেন। ওই জোটের বৈঠকের তৃণমূলের সঙ্গেই রয়েছে কংগ্রেস ও সিপিএম-সহ বাম দলগুলি। আর এমন ঘটনায় বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেস ও সিপিএম। আর সেই সুযোগে তাদের নিচুতলার ভোটের সিঁধ কাটতেই শুভেন্দু এমন কৌশলী মন্তব্য করেছেন বলেই মত বাংলার রাজনীতিকদের একাংশের।