—ফাইল চিত্র।
কয়লাপাচার-কাণ্ডে কলকাতায় এসে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ বা গ্রেফতার করতে পারেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর তদন্তকারীরা। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর স্ত্রী রুজিরার তরফে সোমবার দিল্লি হাই কোর্টে এ কথা জানানো হয়েছে। অভিষেকদের আইনজীবীর সাফ মন্তব্য, এই মামলায় আদালতের দ্বারস্থ হয়ে জোরজবরদস্তি মধ্যস্থতাও চান না তাঁরা।
অভিষেক এবং রুজিরার হয়ে সোমবার দিল্লি হাই কোর্টে হাজির ছিলেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। বিচারপতি যোগেশ খন্নার এজলাসে শুনানিতে অভিষেকদের তরফে সিব্বলের মন্তব্য, ‘‘এই মামলায় আদালতের থেকে জবরদস্তি পদক্ষেপের অনুরোধ করছি না।’’
বেআইনি কয়লাপাচার-কাণ্ডে ১,৩৫২ কোটি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ উঠেছে। এই মামলায় চলতি মাসের গোড়ায় দিল্লিতে নিজেদের দফতরে ডেকে অভিষেককে প্রায় ন’ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। আরও একপ্রস্থ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিষেকের সঙ্গে রুজিরাকেও দিল্লিতে তলব করে ওই তদন্তকারী সংস্থা। যদিও ইডি-কে চিঠি লিখে রুজিরা জানিয়েছিলেন যে করোনা আবহে শিশুসন্তানদের নিয়ে দিল্লিতে যাওয়া সম্ভব নয়। প্রয়োজনে কলকাতায় ইডি-র মুখোমুখি হতে পারবেন বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। পাশাপাশি, ইডি-র ওই সমন খারিজ করার জন্য দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক-রুজিরা। যদিও তাঁদের অন্তর্বর্তিকালীন রক্ষাকবচ খারিজ করে দেয় আদালত। সেই সঙ্গে সোমবার, ২৭ সেপ্টেম্বর এই মামলার শুনানির দিন ধার্য করা হয়। সোমবার সেই শুনানিতে ইডি-কে কলকাতায় এসে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ বা গ্রেফতারির কথা জানানো হয়। যদিও সিব্বলের দাবি, এ কথা আগেই জানানো হয়েছিল যে প্রমাণ সংগ্রহের জন্য এই মামলার আবেদনকারীদের থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে ইডি। ঘটনাচক্রে, সোমবারই এ রাজ্যে চার জন কয়লা মাফিয়াকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই।
যদিও এই মামলার শুনানিতে সোমবার অনুপস্থিত ছিলেন ইডি-র আইনজীবী অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল রাজু। ফলে সোমবার এই শুনানি মুলতুবি হয়ে যায়। মঙ্গলবার ফের এই মামলার শুনানি হবে বলে জানিয়েছে আদালত।