মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হয়ে ভবানীপুর উপনির্বাচনের প্রচারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।
বাংলায় তৃতীয়বার ক্ষমতা দখলের পরেই ভিন রাজ্যে সংগঠন গড়ার কাজ শুরু করেছে তৃণমূল। অসম, ত্রিপুরার মতো দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যে সংগঠন গড়ার কাজে গতি এসেছে। এ বার পশ্চিমের রাজ্য গোয়াতেও সংগঠন বৃদ্ধির কাজ শুরু করেছেন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। রবিবার ভবানীপুর উপনির্বাচনের প্রচারে এ বিষয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘২ মে বাংলা জয়ের পর আপনারা জানেন না, কত চিঠি, কত ইমেল আমরা পেয়েছি। সব ক্ষেত্রেই একই বয়ান, যে তাঁরা তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে দেশ থেকে বিজেপি-কে তাড়াতে চান।’’ উল্লেখ্য, সাংগঠনিক কাজে বর্তমানে গোয়াতেই রয়েছেন তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন ও হাওড়ার তৃণমূল সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়।
অভিষেক বলেন, ‘‘ইতিমধ্যে আমরা ত্রিপুরাতে কাজ শুরু করে দিয়েছি। অসমেও সাংগঠনিক কাজ চলছে। আর গোয়াতেও সংগঠন দানা বাঁধছে। আগামী দিনে যে সব রাজ্যে বিজেপি আছে, সেই সব রাজ্যে আমরা যাব, এবং বিজেপি-কে উৎখাত করব।’’ প্রয়োজনে তৃণমূল নেতৃত্ব যে গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ, বিহার-সহ বিজেপি শাসিত রাজ্যেও যাবে, সে কথাও সভা থেকে জানিয়ে দেন অভিষেক। ডায়মণ্ড হারবারের সাংসদ বলেন, ‘‘দেশে মোট ১৭০০ রাজনৈতিক দল রয়েছে, কিন্তু পাঁচ ছ’টি জাতীয় রাজনৈতিক দল রয়েছে, যারা শক্তিশালী। সেই তালিকায় যেমন কংগ্রেস, বিজেপি, এনসিপি, বহুজন সমাজ পার্টি ও সিপিএম রয়েছে। তেমনই রয়েছে তৃণমূলও।’’