মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। — ফাইল চিত্র।
পঞ্চায়েত ভোটে যাঁরা রাজনৈতিক সংঘর্ঘে মারা গিয়েছেন তাঁদের পরিবারের এক জন সদস্যকে চাকরি দেওয়ার প্রস্তাব পাশ করল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভা। শুক্রবার নবান্নে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। গত জুলাই মাসে নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে এই বিষয়ে ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সিদ্ধান্তে শুক্রবার আনুষ্ঠানিক সিলমোহর দেওয়া হল।
রাজ্য প্রশাসন সূত্রের খবর, পঞ্চায়েত ভোটে নিহতদের পরিবারের এক জন করে সদস্যকে হোমগার্ডের চাকরি দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটের পূর্ণাঙ্গ ফলাফল প্রকাশের পর গত ১৯ জুলাই নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বলেছিলেন, ‘‘ভোট-হিংসায় যাঁদের মৃত্যু হয়েছে তাঁদের সকলের পরিবারের জন্য দুঃখিত। আমি সমব্যথী। পুলিশকে ফ্রিহ্যান্ড দিচ্ছি। উপযুক্ত পদক্ষেপ করুন। আমরা দু’লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য করছি। ভোট হিংসায় ১৯ জন মৃত। তার মধ্যে ১০-১২ জন আমাদেরই। ভোটের দিন সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে চার জন তৃণমূলের। বাকি তিন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মী বা সমর্থক।’’
এর পরেই মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছিলেন, ‘‘সাহায্যের ক্ষেত্রে সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি কোনও ভেদাভেদ হবে না। মৃতদের পরিবারকে আমরা দু’লক্ষ টাকা করে দেব৷ হোমগার্ডের চাকরিও দেওয়া হবে৷’’ মুখ্যমন্ত্রীর ওই ঘোষণার পরেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছিলেন, ১৯ জন নয়, বাংলায় পঞ্চায়েত ভোটে হিংসায় মৃত্যু হয়েছে ৩৫ জনের। গত ১৯ অক্টোবর কলকাতা হাই কোর্টে এ সংক্রান্ত একটি মামলায় রাজ্য সরকার জানিয়েছিল, পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হিংসায় নিহত ৩২ জনের পরিবারকে তখনও পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে।