নাম না করে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’দেখতে বারণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নাম না করে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’দেখতে বারণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার বিধানসভায় স্বরাষ্ট্র দফতরের বাজেট বক্তৃতায় এমনটাই বললেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘কেউ সিনেমা দেখতে যাবেন না। কোনও ভাইরাল ভিডিয়ো দেখতে যাবেন না। সিনেমায় যা দেখায় সব সত্যি নয়। সেগুলো সব বিশ্বাস করবেন না। ওগুলো সব বানানো। সিনেমা সিনেমাই। সিনেমা কিন্তু সত্যি হবে না।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ওদের অনেক টাকা। টাকা খরচ করে ওসব বানায়। তাই বানানো জিনিসে বিশ্বাস করবেন না। দেখবেন না।’’
প্রসঙ্গত, সোমবার বিধানসভার অধিবেশন শেষে বিজেপি পরিষদীয় দলের সদস্যদের নিয়ে সল্টলেক সিটি সেন্টার-১-এর আইনক্স নিয়ে যান শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি-শাসিত উত্তরপ্রদেশ, গোয়া, ত্রিপুরা, কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানা, গুজরাত, উত্তরাখণ্ডে ছবিটি করমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। মধ্যপ্রদেশে পুলিশকর্মীদের জন্য বিশেষ ছুটির সংস্থান করা হয়েছে। অসমে সরকারি কর্মীরা ছবি দেখার জন্য অর্ধ দিবস ছুটি পাবেন বলে ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’। মুক্তি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বক্স অফিসে ঝড় তুলেছে ছবিটি। ১৫ কোটি টাকায় নির্মিত এই ছবিটি মাত্র পাঁচ দিনে ৬০ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে ভারতীয় বক্স অফিসে। গত শনিবার প্রযোজক অভিষেক অগ্রবাল, পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী এবং অভিনেতা পল্লবী যোশী সহ ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ ছবির গোটা টিম দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে। সাক্ষাৎ পর্বে ছবিটির প্রশংসা করেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। অভিনয় করেছেন অনুপম খের, মিঠুন চক্রবর্তী, দর্শন কুমার ও পল্লবী যোশী। ছবির প্রযোজক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে ছবি পোস্ট করেন নেটমাধ্যমে। টুইট করে তিনি লেখেন, ‘আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে খুবই আপ্লুত। দ্য কাশ্মীর ফাইলস ছবি সম্পর্কে তাঁর কথা এবং প্রশংসা আরও বিশেষ করে তুলেছিল গোটা বিষয়টিকে। আমরা কেবলই একটা ছবি প্রযোজনা করার জন্য প্রযোজক হইনি। ধন্যবাদ মোদীজি।’
পাল্টা রিটুইট করে প্রধানমন্ত্রী লিখেছিলেন, ‘তোমাকে নিয়ে গর্ব হয় অভিষেক অগ্রবাল। তুমি ভারতের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং সত্যটা প্রযোজনা করার সাহস দেখিয়েছ। আমেরিকায় ‘কাশ্মীর ফাইলস’-এর স্ক্রিনিং প্রমাণ করে যে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বিশ্বের নজর বদলাচ্ছে।’