এ বার আবু তাহের খানের অসুস্থতার কারণে সংগঠন দেখভালের দায়িত্ব কান্দির বিধায়ক অপূর্ব সরকারকে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। — ফাইল চিত্র।
দীর্ঘ দিন ধরে অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী মুর্শিদাবাদের তৃণমূল সাংসদ আবু তাহের খান। সাংগঠনিক ভাবে তিনি তিনি মুর্শিদাবাদ ও বহরমপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান। তাই এ বার তাঁর অসুস্থতার কারণে সংগঠন দেখভালের দায়িত্ব কান্দির বিধায়ক অপূর্ব সরকারকে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার মালদহ এবং মুর্শিদাবাদ জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে জনপ্রতিনিধিদের দাবিদাওয়ার কথা শুনছিলেন মমতা। এক সময় বলতে ওঠেন কান্দির বিধায়ক। নিজের দাবিদাওয়ার কথা বলতে বলেই সাংসদ আবু তাহের প্রসঙ্গে কথা ওঠে। তখনই আবু তাহেরের অনুপস্থিতিতে তাঁর দায়িত্ব সামাল দিতে বলেন মমতা। বর্তমানে বহরমপুর এবং মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন প্রাক্তন বিধায়ক শাওনি সিংহ রায়। জেলার রাজনীতিতে তাঁর সঙ্গে সাংসদ আবু তাহেরের বিবাদ সর্বজনবিদিত। তাই অপূর্বকে দায়িত্ব দিয়ে মমতা বলেন, ‘‘তুমি আবু তাহেরের লোকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে কাজ করবে। কারণ, সবাইকে নিয়ে চলতে হবে।’’ উপস্থিত প্রশাসনিক কর্তা এবং তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের মুখ্যমন্ত্রী জানান, আবু তাহেরে চিকিৎসার জন্য তিনি দায়িত্ব দিয়েছেন দলের আরও এক চিকিৎসক সাংসদ শান্তনু সেনকে।
পাশাপাশি, বৈঠকে অনুপস্থিত জঙ্গিপুরের বিধায়ক জাকির হোসেনের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘জাকিরকে বলতে হবে ও যেন হুইল চেয়ার নিয়ে ঘোরাফেরা করে। এখন তো অনেক অত্যাধুনিক হুইল চেয়ার পাওয়া যায়। আমি তো হুইল চেয়ারে করেই বিধানসভায় ভোটে প্রচার করেছি। তা-ও সেই হুইল চেয়ারটা ভাল ছিল না।’’ মমতা বলেন, ‘‘জাকির আমার পরামর্শ না শুনলে আমিই ওর বাড়িতে হুইল চেয়ার পাঠিয়ে দেব। আমি চাই ওপর পা এবং কোমরটা ভাল থাকুক।’’ প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের আগে ফেব্রুয়ারি মাসে নিমতিতা স্টেশনে জাকিরের উপর বোমা ছুড়ে হামলা করা হয়। যার ফলস্বরূপ তাঁর পা গুরুতর ভাবে আহত হয়। প্রায় দু’বছরের বেশি সময় ধরে নিজের পায়ের চিকিৎসা করাচ্ছেন জাকির। কিন্তু এখনও পা পুরোপুরি সেরে ওঠেনি।