মঙ্গলবার দক্ষিণ ২৪ পরগনায় চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় কুণাল ঘোষ। ছবি: সংগৃহীত।
২০০৯ সালে পরীক্ষা হয়ে প্যানেল প্রকাশ হয়েছিল। নিয়োগ মিলল ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্যানেল নানা জটিলতায় আটকে ছিল গত ১৫ বছর ধরে। গত বছর অগস্ট মাসে এই প্যানেলের ১৫০৬ জনের নিয়োগ হলেও জট ছিল ৩২৮ জনের নিয়োগ নিয়ে। অবশেষে সেই জটও কাটল। মঙ্গলবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান অজিত নায়েক সাংবাদিক বৈঠক করে ৩২৮ জনের নিয়োগের অনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেন। তার পর শুরু হয়েছে নিয়োগপত্র দেওয়ার কাজও।
সোমবার সন্ধ্যায় তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এক্স হ্যান্ডলে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে জানিয়েছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ও শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর উদ্যোগে ৩২৮ জনের নিয়োগে জট কেটে গিয়েছে। মঙ্গলবার থেকেই ৩২৮ জনের কাছে নিয়োগপত্র পাঠানো শুরু হবে। মঙ্গলবার কুণালও গিয়েছিলেন ডায়মন্ড হারবারে। সেখানে দীর্ঘদিন ধরে চাকরিপ্রার্থীরা আন্দোলন চালাচ্ছিলেন। এই ৩২৮ জনের বাইরেও আরও অনেকে সেই আন্দোলনে ছিলেন। কুণাল তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের দাবি লিখিত আকারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদে জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে শাসকদলের তরফে। আন্দোলনকারীদের অনেকের বক্তব্য, আগেরবার যখন ১৫০৬ জনের নিয়োগের বিষয়ে সবুজ সঙ্কেত মিলেছিল, সেই তালিকার অনেকে কাজে যোগ দেননি। সেই সব ফাঁকা জায়গায় ওয়েটিং লিস্ট থেকে নিয়োগের দাবি ছিল আন্দোলনকারীদের। কুণালের মধ্যস্থতায় মঙ্গলবার কথা হয়েছে, চাকরিপ্রার্থীরা তাঁদের দাবি লিখিত ভাবে জানাবেন। তার পর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ আইনি দিকটি খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করবেন। পরে ধর্না, আন্দোলন প্রত্যাহার করা হয়।