সাবওয়ে ‘উদ্বেধন’ বাবুলের। নিজস্ব চিত্র।
করোনা আবহে ঘটা করে উদ্বোধন অনুষ্ঠান হল না। যাত্রীদের কথা ভেবে তার আগেই সাবওয়ে খুলে দিলেন রেল কর্তৃপক্ষ। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় বুধবার সকালে আসানসোল রেল ডিভিশনের ওই সাবওয়েতে মোটরবাইক নিয়ে এক চক্কর ঘুরেই ‘শুভ উদ্বোধনের’ পালা শেষ করেন। কিন্তু হাফপ্যান্ট পরে বাবুলের এই উদ্বোধন ঘিরে রাজনৈতিক বিতর্ক দানা বেঁধেছে।
বুধবার সকালে বাবুল তাঁর মহীশিলা কলোনির বাড়ি থেকে বেরিয়ে বাইক চালিয়ে সোজা চলে আসেন আসানসোল ডুরান্ড রেল কলোনির কাছে। সেখানে রেল লাইনের নীচে গাড়ি চলাচলের জন্য তৈরি হয়েছে এই সাবওয়ে। যা আসানসোল রেলপাড় ও আসানসোল শহরকে যুক্ত করেছে। রেল কর্তৃপক্ষ জনতার জন্য এই সাবওয়ে খুলে দেওয়ায় এলাকায় ছিল খুশির হাওয়া। সাধারণ মানুষের বহু দিনের দাবি ছিল এই ভূগর্ভস্থ পথটি নির্মাণের।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন, তখন থেকেই এই সাবওয়ে নির্মাণের জন্য সরকারি প্রক্রিয়া শুরু হয় বলে দাবি করেছেন আসানসোলের তৎকালীন মেয়র তথা রানিগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার দুপুরে তাপস বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সাবওয়ে তৈরি করার সমস্ত রকম ব্যবস্থা করেছিলেন। তাঁরই তৎপরতায় সাবওয়ে নির্মাণে রেল মন্ত্রক পদক্ষেপ করেছিল। অথচ বাবুল সুপ্রিয় আজ হাফপ্যান্ট পড়ে বালখিল্যপনা করে বেড়াচ্ছেন।’’
এ বিষয়ে বাবুল বলেন, ‘‘তাপসবাবুকে আমি আসানসোলের তৃণমূলের অন্য বিধায়কদের তুলনায় একজন ভদ্রলোক বলেই জানি। ওঁর মন্তব্যের জবাব দিতে চাই না। এটুকুই বলব, রাজ্য সরকারকে বাদ দিয়ে উনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে আসানসোলের জন্য কী কী করেছেন তার সঙ্গে আমার কাজের তুলনা করলেই স্পষ্ট হবে, আসানসোলের মানুষের সঙ্গে বালখিল্যপনা কে করছেন।’’