বিকাশ ভবনের সামনে সিবিআইয়ের গাড়িতে তোলা হচ্ছে নথিভর্তি বস্তা। — নিজস্ব চিত্র।
তিন দিন ধরে তল্লাশি অভিযান চলছিল রাজ্যের শিক্ষা দফতরের কার্যালয় বিকাশ ভবনে। অবশেষে শুক্রবার দুপুরে সল্টলেকের বিকাশ ভবনের গুদাম থেকে বস্তাভর্তি ‘গুরুত্বপূর্ণ’ নথিপত্র উদ্ধার করল সিবিআই। সূত্রের খবর, ওই সমস্ত নথিপত্রে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত বহু ‘জরুরি তথ্য’ রয়েছে।
শিক্ষা দফতরের বিভিন্ন কাগজপত্র রাখার জন্য ব্যবহৃত ওই গুদামটি ২০২২ সালের ২৩ ডিসেম্বর সিল করে দিয়েছিল সিবিআই। প্রায় দেড় বছর পরে বুধবার থেকে সেই গুদামে আবার আসেন সিবিআই তদন্তকারীরা। বুধ এবং বৃহস্পতি— দু’দিনই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সেখানে তল্লাশি চালান তাঁরা। শুক্রবার বেলায় আবার শুরু হয় তল্লাশি। দুপুরেই সেখান থেকে বস্তাভর্তি নথিপত্র নিয়ে বাইরে আসতে দেখা যায় সিবিআইয়ের গোয়েন্দাদের।
বস্তায় ভরা নথিপত্র নিয়ে বিকাশ ভবন থেকে বেরিয়ে আসছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। —নিজস্ব চিত্র
সিবিআই সূত্রে খবর, প্রাথমিকে নিয়োগের পরীক্ষা টেট সংক্রান্ত জরুরি তথ্য ছাড়াও সেখানে রয়েছে পরীক্ষার্থী এবং চাকরিপ্রাপ্তদের নামের তালিকা। যা প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নতুন দিক খুলে দিতে পারে।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের নভেম্বরেও নিয়োগ মামলার তদন্তে বিকাশ ভবনে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল সিবিআই। সে বার তদন্তকারীরা বিকাশ ভবনের ছ’তলায় গিয়েছিলেন। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর ঘরের উল্টো দিকের ঘরে গিয়ে কম্পিউটার এবং বিভিন্ন নথিপত্র তাঁরা খতিয়ে দেখেছিলেন বলে তদন্তকারী সংস্থার একটি সূত্রে জানা গিয়েছিল।
এর পরে গত ৪ জানুয়ারি সন্ধ্যায় বিকাশ ভবনে রাজ্যের শিক্ষা দফতরের সদর কার্যালয়ে গিয়েছিলেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর, সে বারও তদন্তকারীরা বিকাশ ভবনের ছ’তলায় গিয়েছিলেন। সেখানে রাজ্যের শিক্ষাসচিব মণীশ জৈনের ঘরে গিয়ে তাঁকে কিছু ক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন তাঁরা। সংগ্রহ করেছিলেন কিছু প্রয়োজনীয় নথিও। ওই সময়ে বিকাশ ভবনের সিল করা গুদামেও গিয়েছিলেন তদন্তকারী কেন্দ্রীয় এজেন্সির আধিকারিকেরা।