পার্ক স্ট্রিটে রাজীব কুমারের সরকারি বাসভবনে সিবিআই। —ফাইল চিত্র।
হাইকোর্ট রক্ষাকবচ প্রত্যাহার করার দেড় ঘণ্টার মধ্যেই রাজীব কুমারের বাসভবনে নোটিস দিতে পৌঁছে গেল সিবিআই। শুক্রবার বিকেল পৌনে পাঁচটা নাগাদ সিবিআইয়ের একটি তদন্তকারী দল এডিজি সিআইডি রাজীব কুমারের সরকারি বাসভবন ৩৪, পার্ক স্ট্রিটে পৌঁছন। তাঁকে আগামীকাল সকাল ১০টায় সিবিআই দফতরে হাজির হতে বলা হয়েছে নোটিসে। সিবিআই পৌঁছতে পারে সেই আশঙ্কায় আগে থেকেই রাজীবের বাসভবনের সামনে কলকাতা পুলিশের বড়সড় বাহিনী মোতায়েন করা ছিল।
সিবিআই সূত্রের খবর, গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিক ব্রতীন ঘোষাল এ দিন পৌঁছন রাজীব কুমারের বাসভবনে। সেখানে তিনি না থাকলে তাঁর পরিবারের অন্য কোনও সদস্যের কাছে নোটিস ধরাবেন তদন্তকারীরা। তাঁর পরিবার যদি নোটিস নিতে অস্বীকার করে, তা হলে রাজীবের বাসভবনের দরজায় নোটিস সাঁটিয়ে দেবেন তদন্তকারীরা, এমনটাই সূত্রের খবর।
এর আগে গত ৩ ফেব্রুয়ারি সিবিআই আধিকারিকরা নোটিস নিয়ে পৌঁছেছিলেন ওই বাসভবনে। রাজীব তখন বাড়িতে ছিলেন না। তাঁর পরিবারও সেই নোটিস নিতে অস্বীকার করে। সেই অভিজ্ঞতার কথা মাথায় রেখেই নোটিস সাঁটানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন: রক্ষাকবচ প্রত্যাহার করল হাইকোর্ট, রাজীবের গ্রেফতারিতে আর কোনও বাধা নেই সিবিআইয়ের
আরও পড়ুন: ‘পে কমিশন যা সুপারিশ করবে মেনে নেব’, বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
তবে এ দিন কলকাতা পুলিশের তরফে সিবিআইকে কোনও বাধা দেওয়া হয়নি। পার্ক স্ট্রিট এবং শেকসপিয়র সরণি থানার একাধিক আধিকারিক সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তবে তাঁরা অধিকাংশই সাদা পোশাকে, উর্দিতে নয়। বিনা বাধায় সিবিআই আধিকারিকরা রাজীব কুমারের বাসভবনে পৌঁছন।
অন্য দিকে, রাজ্য পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ছুটিতে রয়েছেন রাজীব কুমার। তিনি দফতরেও যাননি। তবে সরকারি ভাবে সিআইডি থেকে এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। সওয়া পাঁচটা নাগাদ সিবিআইয়ের ওই দুই আধিকারিক রাজীব কুমারের বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন।