Priyadarshini Hakim

‘আমাদের সামাজিক মর্যাদার কী হবে!’ বাড়িতে সিবিআই হানা নিয়ে ফিরহাদ-কন্যার পোস্ট সমাজমাধ্যমে

চেতলার বাড়িতে সিবিআইয়ের তল্লাশি চলার সময়তেই সমাজমাধ্যমে নিজের প্রতিক্রিয়া জানলেন মেয়র-কন্যা প্রিয়দর্শিনী হাকিম। নিজের ছোট পোস্টে বার বার তুললেন সামাজিক হেনস্থা নিয়ে প্রশ্ন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২৩ ১৮:০৯
Share:

মেয়র-কন্যা প্রিয়দর্শিনী হাকিম। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।

রবিবার সকাল সকাল কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। পুর-নিয়োগ মামলায় এই তল্লাশি হচ্ছে বলে জানানো হয়। সেই তল্লাশি চলার সময়তেই সমাজমাধ্যমে নিজের প্রতিক্রিয়া জানলেন মেয়র-কন্যা প্রিয়দর্শিনী হাকিম। নিজের ছোট পোস্টে বার বার তুললেন সামাজিক হেনস্থা নিয়ে প্রশ্ন। এ ক্ষেত্রে তাঁর নিশানা যে কেন্দ্রীয় সরকার ও সংবাদমাধ্যমের একাংশ তা বুঝতে কারও অসুবিধা হয়নি।

Advertisement

প্রিয়দর্শিনী লেখেন, ‘‘আমরা আগেও বলেছি, এখনও পুনরায় বলব। আমরা কোনও রকম তল্লাশি বা অভিযানে ভীত নই। আমাদের লুকোনোর কিছুই নেই। কিন্তু আমাদের যে সামাজিক হেনস্থা হল, তার কী হবে?’’ তিনি আরও লেখেন, ‘‘সংবাদমাধ্যমে যে আমাদের বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে, সেই আলোচনারই বা কী হবে? আমাদের সামাজিক সম্মানেরই বা কী হবে? আমাদের সামাজিক সম্মান ও আদর্শ নিয়ে আপস করতে হচ্ছে, তার কী হবে? আমাদের পরিবারকে হেনস্থা করা হল। যখন তার কোনও প্রমাণ মিলবে না, তার দায়ই বা কে নেবে?’’

প্রসঙ্গত, মেয়র তথা পুরমন্ত্রী ফিরহাদের জ্যেষ্ঠা কন্যা গত কয়েক বছর ধরে সক্রিয় রাজনীতিতে রয়েছেন। বহুজাতিক সংস্থার চাকরি ছেড়ে বহু রাজনৈতিক ও সামাজিক অনুষ্ঠানেও দেখা যাচ্ছে তাঁকে। তৃণমূলের অভ্যন্তরে আলোচনা— প্রিয়দর্শিনীই ফিরহাদের রাজনৈতিক উত্তরসূরি। তাই তাঁর এমন পোস্ট যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। রবিবারই নয়, এর আগে ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের জয়ের পরেই মেয়রের চেতলার বাড়িতে হানা দিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। দিন কয়েক জেলেই থাকতে হয়েছিল কলকাতা বন্দরের বিধায়ককে। সেই ঘটনাতেও ফিরহাদ-কন্যারা প্রকাশ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের ‘প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি’র বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন। ২০২১ সালের ১৭ মে নারদ মামলায় ফিরহাদ, তৎকালীন পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র ও প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। পরে জামিনে ছাড়া পেয়ে ফিরহাদ অভিযোগ করেন, তাঁর পরিবারের সামাজিক সম্মান নষ্ট করার উদ্দেশ্যে ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য তাঁকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। আর এ বার তাঁর জ্যেষ্ঠা কন্যা সামাজিক হেনস্থা এবং সংবাদমাধ্যমের বিচারে ‘অপরাধী’ হয়ে যাওয়ার অভিযোগে সরব হয়েছেন। তবে পোস্টে কোনও রাজনৈতিক দলের নাম উল্লেখ করেননি প্রিয়দর্শিনী।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement