নিজস্ব চিত্র
তুফানগঞ্জে তৃণমূল কর্মী শাহিনুর রহমান খুনের ঘটনায় চার বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করেও নিজের হেফাজতে পেল না সিবিআই। ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’-র ঘটনায় তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনার তদন্তের ভার রয়েছে সিবিআই-এর হাতে। সেই মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে চার জনকে। কিন্তু আদালতে প্রয়োজনীয় নথি জমা দিতে না পারায় সিবিআই-এর পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার দাবি খারিজ হয়ে হয়ে গিয়েছে। ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এই প্রথম ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’ নিয়ে কোনও তৃণমূল কর্মীকে খুনের ঘটনায় বিজেপি কর্মীদের গ্রেফতার করল সিবিআই। বিজেপি-র জেলা সভাপতি মালতী রাভা রায় এই নিয়ে বলেছেন, ‘‘চিলাখানায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে তৃণমূল কর্মী খুন হয়েছেন। এই ঘটনার সঙ্গে বিজেপি কোনওভাবেই যুক্ত নয়। সিবিআই-এর উপর আমাদের আস্থা রয়েছে। আমরা চাই সিবিআই নিরপেক্ষ তদন্ত করুক। তাহলেই আমাদের বিজেপি কর্মীরা নির্দোষ প্রমাণিত হবেন। ভোট-পরবর্তী হিংসায় বহু বিজেপি কর্মী খুন হয়েছেন।’’
শাহিনুর রহমান খুনের ঘটনায় সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হওয়া চার অভিযুক্তর আইনজীবী বিভাস সেন ঈশ্বর বলেছেন, ‘‘সিবিআই যে চার জনকে গ্রেফতার করেছে, শনিবার তাঁদের আদালতে তোলা হয়েছে। সিবিআই-এর পক্ষ থেকে তাঁদের পুলিশ রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু রিমান্ড পিটিশনের সঙ্গে কেস ডায়েরি জমা না দেওয়ায় আদালত আবেদন খারিজ করে দিয়েছে।’’
এই নিয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি গিরীন্দ্রনাথ বর্মন বলেন, ‘‘ভোট-পরবর্তী হিংসায় সিবিআই তদন্ত শুরু করেছে। এত দিনে সিবিআইয়ের সুবুদ্ধি হয়েছে। তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত বিজেপি কর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা আশাবাদী প্রকৃত দোষীরা শাস্তি পাবে।’’